এসময় উপস্থিত থেকে বান্দরবান ডনবস্কো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সীমা দাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক তরু দাশ, বান্দরবান জেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো:শফিউল্লাহ, বালাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:সাহাবুদ্দিন,নতুন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন কান্তি দাশ, চেমীমুখ আনুমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:হাফিজুর রহমান, কালাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:জসিম উদ্দিন, বান্দরবান শহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:সোহেল আজাদসহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে এসময় উপস্থিত হয়ে একত্রতা প্রকাশ করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস,বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী। মানববন্ধনে বক্তারা, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শামীমা আক্তারের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানান এবং এই ঘটনায় অভিযুক্ত ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া মোঃ জুয়েল ইসলাম আরিয়ানের যথাযথ শাস্তির দাবি জানান।
এসময় মানববন্ধনে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন,শিক্ষক হচ্ছে জাতি গঠনের কারিগর। আজ আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত। কিন্তুু কিছু কিছু ঘটনার জন্য আমাদের আজো রাস্তায় দাড়াতে হয় ,মানববন্ধন করতে হয়। আমরা রোয়াংছড়ি আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শামীমা আক্তারের উপর হামলাকারী মোঃ জুয়েল ইসলাম আরিয়ানকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই এবং তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই যাতে ভবিষতে আর কেউ শিক্ষকের ওপর কোন হামলা চালাতে না পারে।
বান্দরবান ডনবস্কো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সীমা দাশ সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, শিক্ষকরা আজ পাহাড় ও দুর্গম পথ অতিক্রম করে শিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। শিক্ষকতার মহান পেশাকে ব্রত করে জাতিকে একটি শিক্ষিত সমাজ গঠনে কাজ করছে এই শিক্ষকরা, কিন্তু‘ শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে আজ আমরা চিন্তিত।
প্রসঙ্গত,গত ১৪জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রোয়াংছড়ি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসচলাকালীন সময়ে সহকারী শিক্ষিকা শামীমা আক্তারের উপর অর্তকিত হামলা করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি, শ্লীলতাহানির চেষ্ঠা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন জুয়েল ইসলাম আরিয়ান নামে এক যুবক। পরে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ এসে শিক্ষিকা শামীমা আক্তারকে উদ্ধার করে ও হামলাকারী মোঃ জুয়েল ইসলাম আরিয়ানকে গ্রেফতার করে ।