বান্দরবানে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া, রোগী এবং তার আত্মীয়ের কাছে অনেকটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতোই। এ্যাম্বুলেন্স এর জন্য বিভিন্ন উপজেলা হতে সদর হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশির ভাগ রোগীর আত্মীয়স্বজনকে পড়তে হয় বিপদে। আর এনিয়ে যেন ক্ষোভের শেষ নেই।
সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান সদর হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ২টি, ১টি করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে, আরেকটি অনন্যা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তাই করোনাকালে বা করোনার আগে থেকে ভেঙ্গে পড়েছে বান্দরবানের এ্যাম্বুলেন্স সেবা। তাই ভাড়া চালিত প্রাইভেট গাড়ি গুলোই এখন রোগীদের ভরসা।
সূত্রে আরো জানা যায়, বান্দরবান সদরে এ্যাম্বুলেন্স আছে ৬টি, সদর হাসপাতালে রয়েছে ২টি, জেলা পরিষদে রয়েছে ১ টি, ফায়ার সার্ভিসে ১ টি, মাতৃমঙ্গলে ১ টি ও বান্দরবান পৌরসভায় রয়েছে ১ টি। বান্দরবান বেসরকারী ক্লিনিকে রয়েছে ২টি। তাদের মধ্যে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার,বান্দরবান হিলভিউ হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই এ্যাম্বুলেন্স সেবা।
শহরের কালাঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, গতকাল দুপুর থেকে আমার মাকে একটু সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য, একজন নার্সের মাধ্যমে এ্যাম্বুলেন্স চালকদের নাম্বার যোগাড় করি, কিন্তু সকালে এক ঘন্টা ধরে চেষ্টা করলে তাদের নাম্বারে সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরে বান্দরবান পৌরসভার এ্যাম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগ করা হলে বান্দরবান পৌরসভার এ্যাম্বুলেন্স চালক স্বপন বলেন, এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট।
ফলে বান্দরবানে অসুস্থ রোগীদের এ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে ভোগান্তি পেতে হয়। বান্দরবানে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীদের হাসতাপাতালে আনা-নেওয়া বাবদ সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সর্বনিম্ন ভাড়া তিনশো টাকা। বান্দরবানে জরুরি বিভাগের সামনে সাইনবোর্ডে বড় করে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সেবার কথা লেখা আছে। কিন্তু রাত হলে এই সেবা আর পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ করেন বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দা।
২নং কুয়ালং ইউনিয়নের বাসিন্দা মং সিং বলেন,গতকাল দুপুরে আমার বড় ভাই বাসার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়, অনেক কষ্টের মাধ্যমে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সদর হাসপাতালের সামনে দেওয়া সাইন বোর্ডে নাম্বারে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কল করলেও সংযোগ পাই নি।
বান্দরবান শহরের ইসলাম পুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, কোন বিপদে বান্দরবান সদরে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ঠিক মতো পাওয়া যায় না।
এই বিষয়ে সদর হাসপাতালে আরএমও ডাক্তার জসিম উদ্দীন বলেন, বান্দরবান সদরে রোগীদের সেবায় জেলা পরিষদ, বান্দরবান পৌরসভা, মাতৃমঙ্গল, ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুলেন্সগুলো এই করোনা মুহুর্তে এগিয়ে আসা উচিত। বান্দরবান সদরে হাসপাতালে দুইটি এ্যাম্বুলেন্স মধ্যে একটার অবস্থা ভালো হলেও অন্যটার অবস্থা সুবিধা জনক নয়।