বান্দরবানে সাংগ্রাইসহ নববর্ষের সব আয়োজন বাতিল

NewsDetails_01

করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব মোকাবেলায় বান্দরবানের নব বর্ষবরণের প্রধান উৎসব সাংগ্রাইসহ সব অনুষ্ঠান আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের হলরুমে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বাতিল করার ঘোষনা প্রদান করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, সারা বিশ্বে এখন করোনা ভাইরাস মহামারী আকার নিয়েছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও এটা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে বান্দরবানে বাংলা নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে জেলার ৪শত ১৮টি বৌদ্ধ বিহারে পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নববর্ষের শ্রদ্ধা দান হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হবে।

NewsDetails_03

সংবাদ সম্মেলনের এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, বালাঘাটা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তেজপ্রিয় থের, রাজগুরু (খ্যং ওয়া ক্যং) বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক কেএসমং মার্মা, অর্থ সম্পাদক রাজপুত্র শৈনুপ্রু রুমু, উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি থেওয়াং (হ্লাএমং), সাধারণ সম্পাদক শৈটিং ওয়াই মার্মা’সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পুরানো বছরকে পেছনে ফেলে আসে নতুন বছর, আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তিন পার্বত্য জেলার মারমা আদিবাসীরা সাংগ্রাই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে। প্রতিবছর আদিবাসীদের ঘরে সাংগ্রাই আসে নতুন সাজে। দিয়ে যায় কিছু আনন্দ, কিছু বেদনার ফুলঝুরি। ঐ আনন্দ বেদনার মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রতিটি আদিবাসী’র দেহমনে জেগে উঠে নতুন পরিবর্তনের শিহরন, স্বপ্ন দেখে দিন বদলের, স্বপ্ন দেখে যেন নতুন এক সকালের। সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য জেলায় শুরু হয় আনন্দের বন্যা। দেশের অন্যতম পর্যটন শহর বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ির বিশেষ করে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা সম্প্রদায় পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নবর্বষকে স্বাগত জানিয়ে বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ উৎসব উদ্যাপন করে। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারনে নববর্ষবরণের এই আনন্দ উৎসব হচ্ছেনা এবার।

প্রসঙ্গত,বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সংখ্যাঘরিষ্ঠ আদিবাসী মারমা, রাঙ্গামাটি’র চাকমা ও খাগড়াছড়ি’র ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসবাস। চাকমা স¯প্রদায়রা এই উৎসবকে বিঝু, মারমা’রা সাংগ্রাই এবং ত্রিপুরারা বৈসু বা বৈসুক বলে। ত্রিপুরাদের বৈসুর (বৈ), মারমাদের সাংগ্রায়ের (সা) চাকমাদের বিঝুর (বি) থেকে “বৈসাবি”।

আরও পড়ুন