বান্দরবানে সাবেক কাউন্সিলর রাহিমা বেগমের নেতৃত্বে ত্রাণ লুটের অভিযোগ

NewsDetails_01

বান্দরবান পৌরসভার ৭নংওয়ার্ড আর্মিপাড়া এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী (ত্রাণ) সহায়তা বিতরণের সময় ত্রাণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় কাউন্সিলর রাহিমা বেগমসহ ৩জনকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সুত্রে জানা যায়,১৪ জুলাই (বুধবার) বিকালে বান্দরবান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এ প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তার ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় তালিকা সঠিক নয় বলে অভিযোগ করে এলাকার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগম,মো.আবু বক্কর,ময়িরম বেগমসহ বেশ কয়েকজন ত্রাণের গাড়ীতে হামলা করে বর্তমান কাউন্সিলর হারুন সরদার ও মহিলা কাউন্সিলর শাহানা আক্তার শানুকে আহত করে বেশি কিছু ত্রাণের প্যাকেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় আসামীরা তাদের মারধর করে এবং নগদ ১০হাজার টাকা চুরি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনায় পর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন সরদার বাদী হয়ে সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগমসহ নামধারী ৭জন ও অজ্ঞাতনামা ২০জনের নামে বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হারুন সরদার বলেন, ত্রাণ বিতরন করতে গেলে এলাকার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগম ও তার স্বামীর সঙ্গীরা কাউন্সিলদের ওপর হামলা করে ৩০ প্যাকেট ত্রাণ ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং মারধর করে আহত করে কয়েকজনকে।

NewsDetails_03

কাউন্সিলর হারুন সরদার আরো বলেন,ঘটনার পর আমি বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।

এদিকে ঘটনার পর মামলার প্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই রাতে ৭নং ওর্য়াড এর সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগমকে বাসা থেকে আটক করে বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান,কাউন্সিলরের উপর হামলা ও সরকারি ত্রাণ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৭জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার আসামী সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগমসহ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, এই বিষয়ে পরবর্তী আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৪ জুলাই (বুধবার) বান্দরবান পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় দু:স্থ ও কর্মহীন ৫হাজার ৬শত ২১পরিবারের মাঝে প্রতিজনকে ১০কেজি করে চাউল প্রদান করা হয়। আর এই চাল বিতরণ করতে গিয়ে হামলা ও পরবর্তীতে বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।

আরও পড়ুন