বান্দরবানে স্কুলের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক ও স্কুল সভাপতি !

NewsDetails_01

বান্দরবানের টাইগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে
সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বান্দরবানের টাইগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চিনু দেওয়ান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অর্জুন তঞ্চঙ্গ্যা কর্তৃক গাছ কাটা অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা সদরের টাইগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ৪টি বিশাল আকারের সেগুন গাছ, ২টি বড় আকারের গামারি গাছ, ১টি রং গাছসহ আরেকটি বড় জাতের পাহাড়ী গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে একজন এলাকাবাসী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমাদের টাইগার পাড়া স্কুলের অনেক বড় বড় গাছ কেঠে ফেলেছে,নতুন প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির সভাপতি মিলে সব গাছ কেটে ফেলছে। আমি ধারণা করছি যে এই বড় আকারের গাছ গুলো কেটে ফেলার ফলে স্কুলটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়, যে কোন সময় স্কুলটি ধ্বসে পড়তে পারে।
স্কুলের একজন অভিভাবক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক চিনু দেওয়ান স্কুলে আসার পর থেকে সরকার কর্তৃক যেসব টাকা স্কুলের উন্নয়নের জন্য আসে সেই অনুযায়ী কাজ করেনা বরং আমাদের অভিভাবকদের বলেন আমি (চিনু) নিজের বেতনের টাকা দিয়ে স্কুলের কাজ করি। তার মানে কি সরকার স্কুলটির জন্য কোন বরাদ্ধ দেয়না? এমন কি তিনি প্রায় ঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না।
এই ব্যাপারে প্রতিবেদক কে টাইগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চিনু দেওয়ান জানান, আমি স্কুল কমিটির সভাপতি ও আমাদের স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সাথে একটি বৈঠকে বসি এবং গাছ কাটা বিষয়ে আলোচনা করি, এবং রবিবারে আমি স্কুল ছুটির পর বাসায় চলে যায়। কিন্তু সোমবার সকালে স্কুলে এসে দেখি গাছ গুলো কাটা হয়েছে। এর পর আমি বিষয়টি আমাদের ডিপিও(জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার) স্যার কে অবহিত করি। এবং এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করি। তিনি আরো বলেন, আমরা এই গাছ গুলো দিয়ে স্কুলের আসবাবপত্র তৈরী করবো।
এই বিষয়ে বান্দরবান সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবীন্দ্র নাথ সাহা বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়টি আইন অনুযায়ী হয়নি। গাছ কাটার আগে ডিপিও কে জানাতে হয় এবং নিলামের আহবান করতে হয় এবং যে সর্বোচ্চ দাম দিতে পারবেন সেই নিলামের অধিকারী হবেন। কিন্তু টাইগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চিনু দেওয়ান এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অর্জুন তঞ্চঙ্গ্যা এই কোনটাই করেননি বরং গাছ কাটার পর আমাদের জানান।
এই ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রিটন কুমার বড়ুয়া জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার আগে আমাদের জানানো হয়নি, সোমবার সকালে আমি জানতে পারি। বর্তমানে টাইগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চিনু দেওয়ান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। বর্তমানে প্রতিবেদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন