টানা ছয়দিনের প্রবল বর্ষনের কারনে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করছে। ফলে জেলা সদর ছাড়াও লামা,আলীকদমের বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে অনেক পরিবার।
বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দোয়ার এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে মঙ্গলবার থেকে ২য় দিনের মতো বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বান্দরবানের বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু জানান, বান্দরবান কেরানিহাট সড়কের বাজালিয়ায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় তারা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন, পানি নেমে গেলে বাস চালু করা হবে।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। পুরো জেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে ১২৬ টি। সোমবার রাত থেকে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
আরো জানা গেছে,পাঁচ দিনের টানা বর্ষনের কারনে সাংগু নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে বান্দরবানের থানচির দূর্গম বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়া ১৬ পর্যটক গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানচি সদরে ফিরে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবল বর্ষনের কারনে সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় থানচির রেমাক্রি, তিন্দু,বড় মদক ও ছোট মদকে নৌ চলাচল বন্ধ আছে। পাহাড়ি রাস্তায় চলাচল বিপদজনক হওয়ার কারনে থানচির পর্যটন রুট জিন্নাহ পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অন্তত ৩০ পর্যটকরা আটকা পরে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের থানচি ও রুমার সাঙ্গু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে নৌ পথে যাতায়ত ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার কারনে গত শুক্রবার থেকে উপজেলাগুলোর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক যাতায়ত বন্ধ রাখে উপজেলা প্রশাসন।