বান্দরবানে ২ কেএনএফ সন্দেহভাজন নিহত
যৌথ বাহিনীর অভিযান
বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর দুই সদস্য নিহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে জেলার সদর উপজেলার সুয়ালক ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড শ্যারনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্যারণপাড়া প্রধান তলুয়াং থাং বমের তথ্য অনুযায়ী নিহতরা হলেন, শ্যারন পাড়া এলাকার লাল নু বম ও বেথানি পাড়া এলাকার ভান থাং পুই বম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কেএনএফ বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শ্যারনপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। এ সময় কেএনএফ সদস্যরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই কেএনএফ সদস্যরা নিহত হয়। পরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় তাদের লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়।

এই বিষয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার জুয়েল ত্রিপুরা জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত্র শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে বান্দরবানে ১৯ মে যৌথ বাহিনীর অভিযানে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় ৩ জন, ৭ মে রুমার দুর্গম দার্জিলিংপাড়ায় ১জন, ২৮ এপ্রিল রুমার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নে ২ জন, ২২ এপ্রিল রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়ায় ১জন কেএনএফ সশস্ত্র সদস্য মারা যায়। নিহতরা সবাই বম সম্প্রদায়ের পুরুষ সদস্য। এসময় কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গত ২ ও ৩ মে জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, হামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট, ব্যাংকের অর্থ ও ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন অপহরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত নয়টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে থানচিতে ৪টি ও রুমায় ৫টি মামলায় ৮৬ জন কেএনএফের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়, এদের মধ্যে ২৫ জন নারীও রয়েছে। গ্রেফতারকৃত অনেককে নেওয়া হয় রিমান্ডে।