বান্দরবানে ৬ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হয়নি মামলা, গ্রেফতার নেই কেউ

NewsDetails_01

বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় গত ৭জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) গ্রুপের ৬ জনকে গুলি করে হত্যা ও ৩ জনকে গুলি করে আহত ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর বাঘমারাসহ জেলা জুঁড়ে বিরাজ করছে আতংক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাগমারা এলাকায় শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা ) গ্রুপের (১) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা ( প্রজিৎ) ৬৮, (২) খাগড়াছড়ি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য চিং থোয়াইঅং মারমা ডেভিড ৫৬ ,(৩) বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি রতন তংচঙ্গ্যা ৫০, (৪) পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির খাগড়াছড়ির সদস্য রবীন্দ্র চাকমা (মিলন) ৫০, (৫) পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির খাগড়াছড়ির সদস্য রিপন ত্রিপুরা জয় ৩৫, ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির খাগড়াছড়ির সদস্য জ্ঞান ত্রিপুরা (দিপেন) ৩২ । ঘটনায় আহতরা হলেন, নিরু চাকমা,বিদ্যুৎ ত্রিপুরা, প্রু বা চিং মারমা।

এদিকে ঘটনার পর ৭ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে নিহত ৬ জনের লাশ আনা হয়েছে এবং আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। করোনার এই সময়ে ও আঞ্চলিক দলগুলোর হঠাৎ করে তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ঘটনার পরপরই বাঘমারাসহ আশেপাশের এলাকায় বিরাজ করছে আতংক। ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলে ও এখনো এই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি এবং কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

NewsDetails_03

তবে পুুলিশ বলছে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে এবং জড়িতদের খুঁজতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৭জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতদের নিয়ে আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ,তবে মামলা এখনো হয়নি ।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছে বাঘমারা এলাকায় জনসাধারণ ও নিহতের স্বজনেরা, বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়।

আরও পড়ুন