এবার পার্বত্য বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার ১৩০টি গ্রামে ব্র্যাকের অর্থায়নে মানুষের জ্বরের কারণ নির্ণয় এবং এটি কিভাবে রোগীর অসুস্থতা বা মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বেসরকারী সংস্থা বিএনকেএস। ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে সংস্থাটির ‘এসইএসিটিএন’ প্রকল্প লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি ১৫টি গ্রামে এ কাজ শুরু করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কমিউনিকেবল ডিজিস প্রোগ্রামের (ম্যালেরিয়া) আয়োজনে লামা উপজেলায় পরিষদ সভা কক্ষে এক অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়। অবহিতকরণ সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন অতিথি ছিলেন।
প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার প্রণজিত দেওয়ান ও ব্র্যাকের অনিন্দ সেন সভায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সংস্থা ও প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্র্যাকের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, এনজেড একতা মহিলা সমিতির আবুল কালাম ও সাংবাদিক বশিরুল আলম প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার প্রণজিত দেওয়ান বলেন, বিএনকেএস ‘এসইএসিটিএন’ প্রকল্পের মাধ্যমে বান্দরবান সদর, নাইক্ষ্যংছড়ি, রোয়াংছড়ি, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া ও উখিয়া উপজেলায় সহ চট্টগ্রাম জেলায় বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে জ্বরের কারণ নির্ণয়ে কাজ করছে। ম্যালেরিয়া আরডিটির মাধ্যমে ম্যালেরিয়া জ্বর পরীক্ষার পাশাপাশি একই পদ্ধতি ব্যবহার করে ডিবিএস ফিল্টার পেপার রক্ত সংগ্রহ করে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, জিকা, জাপানিজ এনসেফালাইটিস, এন্টোরোভাইরাস, অরেনসিয়া সুসুগামশি, রিকেটসিয়া প্রজাতি ও লেপ্টস্পাইরা প্রজাতির পরীক্ষা করে চলেছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।