বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষিকা রুমি বডুয়া’কে হত্যার দায়ে স্বামী রিন্টুর মৃত্যুদণ্ড

purabi burmese market

বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা রুমি বডুয়াকে গলা কেটে হত্যা দায়ে স্বামী রিন্টু বড়ুয়া (নান্নু) কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ৫ম জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ৫ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট রতন চক্রবর্তী।

রিন্টু বড়ুয়া (৪১) রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী এলাকার ডা. কমল কান্তি বড়ুয়ার ছেলে। তার স্ত্রী রুমি বড়ুয়া বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন।

অ্যাডভোকেট রতন চক্রবর্তী বলেন, ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রিন্টু ও রুমির বিয়ে হয়। প্রথমে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও পরে বিভিন্ন বিষয়ে মতদ্বৈততা নিয়ে ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে রুমিকে মারধর করা শুরু হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুমিকে ছাদে বেড়াতে নিয়ে যায় রিন্টু। সেখানে অ্যান্টিকাটার দিয়ে রুমির ঘাড়ে বারবার আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতক স্বামী।

জানা যায়, ঘটনার পর রাত ২টায় রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে রুমি বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত্রের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

dhaka tribune ad2

পরদিন ১৪ আগস্ট রুমির ভাই মনোজ কান্তি বড়ুয়া বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৭ আগস্ট ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিন্টু। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সোমবার (৮ নভেম্বর) রিন্টু বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

প্রসঙ্গত, রুমি বড়ুয়া বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতা দীপ্তি কুমার বড়ুয়ার কন্যা, রুমি বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এই শিক্ষকা হত্যাকান্ডের ঘটনায় বান্দরবান ও চট্টগ্রামে তোলপাড় শুরু হয়।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।