বান্দরবান ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

অর্থ নিয়ে কমিটি গঠন, ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন, আন্দোলন-সংগ্রাম, মিছিল-মিটিংয়ে অনুপস্থিতসহ বিভিন্ন অভিযোগে বান্দরবান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল আমিন ফরহাদ ও সাধারণ সম্পাদক অমিত তংচঙ্গ্যার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বরাবর অভিযোগ করে, জেলা ছাত্রদলের ১০ বিশিষ্ট আংশিক কমিটির সাতজন।

জেলা ছাত্রদল নেতারা অভিযোগে বলেন, বিগত ২ বছর ধরে বান্দরবান জেলার ১০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি পাওয়ার পর বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক কোন আন্দোলন ও সংগ্রামে সরব উপস্থিতি ছিলো না। অর্থের বিনিময়ে নিজেদের পছন্দের কমিটি অনুমোদনসহ ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন করছে।

জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, তৃনমূল ছাত্রদলকে আন্দোলনমূখী করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান জেলা ছাত্রদলের সুপার ফাইভের সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউনিট কমিটি করার নির্দশনা দেন। কিন্তু জেলা সভাপতি/সম্পাদক আমাদের সাথে কোন ধরনের পরামর্শ না করে কেন্দ্রীয় বিভাগীয় টিমের কাছে ইউনিট কমিটি জমা দেন, যা সম্পূর্ন অন্যায়।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চট্রগ্রামের বিভাগীয় টিমের বিরুদ্ধে অর্থ নেওয়ার যে অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

আলীকদম উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, আমার উপজেলার ইউনিট কমিটির যাদের নাম প্রস্তাব করেছেন, বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক, তারা বিগত দিনে কোন আন্দোলন-সংগ্রাম, মিছিল-মিটিং এ ছিলো না।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক জালাল মোহাম্মদ আকবর সেজান বলেন, এখান থেকে যাদের নাম প্রস্তাব করেছে, তারা অতীতে কোন কমিটিতে ছিলো না।

এদিকে বান্দরবান জেলা ছাত্রদলের অনুমোদিত ১০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির ৭ জন বান্দরবান জেলার ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যারা অনাস্থা জ্ঞাপন করেন তারা হলেন, মোরশেদ বিন ওমর, আবু বক্কর, অহিদুর রহমান চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, মিথুন কান্তি দাশ, উজ্জল কুমান নাথ, অংস্লা মার্মা।

এবিষয়ে জানতে ফোন করা হলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল আমিন ফরহাত ফোন রিসিভ করে সংযোগটি কেটে দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৩ জুন আশরাফুল আমিন ফরহাদকে সভাপতি ও অমিত তংচঙ্গ্যাকে সাধারণ সম্পাদক করে অনুমোদিত কমিটি ঘোষনা করা হয়।

আরও পড়ুন