বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হওয়া হলোনা তাজুল ইসলাম এর
বান্দরবানের লামা উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম আজ নেই কিন্তু পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হতেন তিনি আর তার আগেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এর রদবদলে নতুন সদস্যদের তালিকায় ছিলেন লামা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা তাজুল ইসলাম। পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এই শুন্য স্থানে নতুন সদস্য হিসাবে তাজুল ইসলামের নাম অর্ন্তভূক্ত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু দেশব্যাপি করোনা সংক্রামনের কারনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদিত নতুন সদস্যদের রদবদলের বিষয়টি আর হয়নি। আর এর আগেই তাজুল ইসলাম না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
সূত্রে জানা যায়, তিনি চট্টগাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা অবস্থায় আজ শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তাজুল ইসলাম লামা পৌরসভা এলাকার রাজবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাকিম আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ১ মেয়ে, স্ত্রীসহ স্বজনদের রেখে যান। তিনি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় দীর্ঘদিন কাজ করেন এবং লামা প্রেসক্লাবের আধুনিকায়নে বিশেষ অবদান রাখেন। জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলামের অকাল প্রয়ানে লামা উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এই ব্যাপারে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা পাহাড়বার্তাকে বলেন, তাজুল ইসলাম পার্বত্য জেলা পরিষদ এর সদস্য হিসাবে নিয়োগের অপেক্ষায় ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা, কিন্তু করোনার কারনে তা পিছিয়ে গেছে।
এদিকে তার মৃত্যুতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি, পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল, উপজেলা আওযামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেন, লামা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক তন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
