বান্দরবান পৌরসভার শহর উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ
এবার বান্দরবান পৌরসভার শহর উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহর উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে উজানি পাড়া জুম্ম রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রাউস অফিস পর্যন্ত সড়ক মেরামতে ৫৫০ মিটার কার্পেডিং ও বালাঘাটা ফজর আলী পাড়া সড়ক উন্নয়ন কাজ করছে পৌরসভা। তবে এসব উন্নয়ন কাজে গুনগত মান বজায় না রেখে যেন তেন ভাবে দায়সারা ভাবে কাজ সম্পন্ন করার প্রতিযোগীয় নেমেছে ঠিকাদার বিমল মারমা। ফলে এসব উন্নয়ন কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কিত এলাকাবাসী।
স্থানীয় আরও জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে পৌরসভার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়নে কাজ করছে বান্দরবান পৌরসভা। যার মধ্যে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে উজানি পাড়া জুম্ম রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রাউস অফিস পর্যন্ত একটি। সড়কটি রিপিয়ারিং ও কার্পেডিংয়ে যথাযত নিয়ম মানা হচ্ছে না। সড়কের ভাঙ্গা অংশে ভালো মানের পাথরের খোয়া দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে নিন্ম মানের ইটের খোয়া। যা রোলার দিয়ে চাপা দিলেই গুরো হয়ে যাচ্ছে। কার্পেডিংয়ের স্থর ৪০ এমএম বা ১.৫৬ ইঞ্চি পুরো হওয়ার কথা থাকলে তা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া বিটুমিন মিশ্রিত পাথরের তাপমাত্রা সর্বনিন্ম ৯০ ডিগ্রী থাকার কথা থাকলেও তা পরিমাপও করা হচ্ছে না। ফলে সড়কটির অধিকাংশ স্থানে রোলিং করার পরও তা মশ্রিন হচ্ছে না।
কাজ চলা কালে পৌরভার লোকজনের উপস্তিতি দেখা গেলেও কোনরুপ পরিক্ষা ছাড়াই নির্ভিগ্নে এসব কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদার বরং উলটো ঠুঢো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকেন পৌরসভার এসব লোকজন।

সরজমিনে উজানি পাড়া এলাকায় গেলে কাজটির দ্বায়িত্বে থাকা (এসও) রাশেল জানান, টিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউটি মং ও মেসাস কাসেম এন্টারপ্রাইজ জয়েন্টভেঞ্চারে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদার বিমল মারমা।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাপমাত্রা মাপা ও পুরুত্ব মাপার যন্ত্র ফজর আলী পাড়া এলাকায় অপর সাইটে নিয়ে গেছেন। ফলে এই মুহুর্তে এসব পরিক্ষা করে দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ফজর আলী পাড়া এলাকায় গিয়ে আরসিসি ওয়াল ঢালাই ছাড়া সড়কে কার্পেডিং করার কোন চিত্রের দেখা মেলেনি।
ঠিকাদার বিমল মারমা বলেন, অফিসের নির্দ্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম হচ্ছে না দাবি করে বলেন, অফিসের নির্দ্দেশনাতে এলসি পাথরের ব্যবহার করার কথা থাকলেও এর চাইতে উন্নত সিলেটি পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রকল্পের প্রকৌশলী তৌফিক বিন সাজেদ জানান, প্রকল্পের অধিনে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৫ আগষ্টের পর তাকে দুইটি পৌরসভার দ্বায়িত্ব দেয়া হওয়ায় তিনি বর্তমানে বান্দরবানের বাইরে আছেন।বান্দরবান পৌরসভায় তাপমাত্রা ও তিকনেস মাপার যন্ত্র না থাকায় স্থানীয় এলজিইডির মাধ্যমে তা পরিক্ষা করানো হয়। এবিষয়ে বান্দরবান পৌরসভার প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
এবিষয়ে বান্দরবান পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া বলেন, অফিসের প্রয়োজনে বর্তমানে তিনি বাইরে আছেন। ফিরে এসে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।



