বান্দরবান সদরে গাছ উজার করছে নব্য আওয়ামী লীগ নেতা কামাল !

নীরব বন বিভাগ

NewsDetails_01

বান্দরবান সদর উপজেলার মেঘলা, নীলাচল, টাইগার পাড়া, কানাপাড়া, চেমীরমুখ, মাঝের পাড়ার চা বোর্ডের আশপাশসহ সদরের বিভিন্ন এলাকার সেগুন, গামারীসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন উজার করছে মেঘলার কতিথ নব্য আওয়ামী লীগ নেতা কামাল।

স্থানীয়রা জানায়, এক সময় বিএনপির রাজনীতি করলেও কয়েকবছর আগে আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান গাছ কামাল। আর ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে গত কয়েকবছর ধরে বান্দরবান সদরের মেঘলা, নীলাচল, কানাপাড়া, মাঝের পাড়ার চা বোর্ড এলাকা, চেমীরমুখ, গোয়ালিয়া খোলা, রেইচা, টাইগার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার গাছ কেটে বন উজার করছে। আর উজার করা এসব গাছ বন কর্তাদের ম্যানেজ করে ও বন বিভাগের দেয়া প্রহরা চৌকি পার হয়ে চলে আসছে বান্দরবান সদরে। আবার কিছু কিছু গাছ চলে যাচ্ছে চট্টগ্রামে। বান্দরবানের ১২ মাইল সুকুমার রোড দিয়ে এসব অবৈধ গাছ যাচ্ছে বিভিন্ন অবৈধ ইটভাটায় ও মেঘলা এলাকার লুম্বিনী গার্মেন্টসে।

বান্দরবান শহরের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, জেলা শহরের পৌর এলাকার যৌথ খামার এলাকায় মানুষের সৃজিত বাগানের সেগুন, গামারি গাছ নির্বিচারে কেটে রাতের আধারে পাচার করছে কামাল। আর এই অবৈধ ব্যবসা করেই এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।

সরিজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, বান্দরবানে মেঘলা এলাকার কানা পাড়ার গোল্ডেন টেম্পল পাশের রাস্তার উপরে, বম পাড়ার পরে পাহাড় থেকে গাছ কেটে স্তুপ করে রাখা হয়েছে পাচারের উদ্দ্যেশে। আর এই পাহাড়ে শত শত গাছের কাটা টুকরো পড়ে আছে।

NewsDetails_03

আরো জানা গেছে, জেলা সদর ও পৌর এলাকার বিভিন্ন বাগান থেকে মহামূল্যবান এসব বড় গাছ কেটে জোতপারমিট ছাড়া জেলার বাইরে পাচার, অন্যদিকে গাছের অবশিষ্ট অংশ ১৫০ টাকা করে মণ বিক্রি করে এবং এক পিকআপ লাকড়ি ইটভাটায় বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে।
এ বিষয়ে অবৈধ গাছ পাচারকারী কামাল বলেন, আমি অবৈধ ভাবেই গাছ কেটে বিক্রি করিনা, মানুষের বাগান থেকে রাতের আধারে গাছ কেটে পাচারও করিনা।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, জেলার মেঘলা, নীলাচল, টাইগার পাড়া, কানাপাড়া, চেমীরমুখ, মাঝের পাড়ার জনবসতিহীন মানুষের বাগানের রোপিত গাছ দিনের বেলায় কেটে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মিনি ট্রাকে করে জেলা শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে গাছ পাচারের ঘটনা ঘটলে এক্ষেত্রে নীরব বন বিভাগ।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, কামাল মেঘলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গাছ কাটছে কিনা জানা নেই, জানলে অভিযান চালানো হবে।

গত ৬ মাসে উক্ত এলাকা থেকে কি পরিমান কাঠ আটক করা হয়েছে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোন সুদত্তর দিতে পারেননি।

আরও পড়ুন