শিশুটি কিছু বলতে না পারলেও মোঃ আলম প্রতিবেদককে জানান, সে যখন ফকিরাবাজার সংলগ্ন পাহাড়ী অঞ্চলে ঢুকে পড়ে তখন সেই শিশু ছেলেটিকে দেখতে পায়। তখন জিজ্ঞাসা করা হলে সে তার বাবা,মা’র নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেনি। আমি নিজের সন্তান মনে করে তাঁকে নিয়ে এসেছি। তাঁর ধারণা মিয়ানমারে সহিংসতা শুরু হলে শুক্রবার রাতে তাঁর বাবা, মা, অসাবধানতা বশতঃ শিশুটিকে ফেলে জীবন বাঁচাতে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়, পরে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ প্রতিবেদককে প্রথমে দেখে সে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। কারণ কি জানতে চাইলে শিশুটি আশ্রয়দাতা মিয়ানমারের বাসিন্দা মোঃ আলম বলেন, প্রথমে আমাকে দেখে শিশুটি মনে করেছিল মিয়ানমারের সেনা অথবা রাখাইনের কোন সদস্য। তাই পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছে। কারণ তাঁর চোঁখে মুখে দেখা যাচ্ছে সেই ভয়াল রাত (২৪) শুক্রবারের চিত্র। বর্তমানে শিশুটি মোঃ আলমের আশ্রয় থাকলেও সে কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি পেলে শিশুটিকে হস্তান্তর করবে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তাঁর মতো কতো ছৈয়দুল আমিন বাবা,মা ফেলে চলে আসছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই কারো কাছে ???