সিঙ্গাপুরের অর্থ পাচার সিঙ্গাপুরের আদালতে প্রমানিত, যুক্তরাষ্ট্রের মানি লান্ডারিং এর যে মামলা সেটা কি মার্কিন আদালতে প্রমানিত নয়? বিএনপির অর্থ পাচার এফবিআই ঢাকায় এসে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে, এরপরও প্রমান করতে হবে? এরপরও কি এটা প্রমানের অপেক্ষা রাখে? বিএনপির উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ঐতিহ্যবাহী ১৪০তম বোমাং রাজ পূণ্যাহ মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন মধ্যবর্তী তামাসা, এটা কি মামা বাড়ীর আবদার।
দুপুর সাড়ে বারটায় সৈন্য-সামন্ত্র বেষ্টিত বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী হাতে তলোয়ার এবং মাথায় রাজ মুকুট পরে রাজভবন থেকে বের হয়ে অতিথিদের নিয়ে পুরাতন রাজবাড়ি মাঠের মঞ্চে আসন গ্রহন করেন। পাহাড়ী বাদ্যযন্ত্রের সুর,অন্যদিকে আদিবাসী তরুনীরা ফুল ছিটিয়ে রাজাসহ অতিথিদের বরণ করে নেন। পরে রাজা প্রজাদের কাছ থেকে বাৎসরিক কর (রাজস্ব) আদায় করেন।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডঃ আব্দুর রাজ্জাক,পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরসহ দেশী বিদেশী অতিথিরা। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেনারেল আফিসার কমান্ডিং,২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার পিএসসি,৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান রিজিয়ন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, এসইউপি, এনডিইউ, পিএসসি,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা,বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ লা মং, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক,পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়,রাজকুমার চা হ্লা প্রু জিমি,রাজকুমার মং ঙোয়ে প্রু সহ দেশ-বিদেশ থেকে আগত অতিথিরা।
মেলাকে ঘিরে বান্দরবান জেলার ১১ টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মন্ডিত মনোজ্ঞ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মিলন মেলা পরিণত হয়। মেলায় পুতুল নাচ,সার্কেস,নগরদোলাসহ শত শত ষ্টল বসে। ২ শত বছরের ঐতিহ্য অনুসারে প্রতিবছর রাজা প্রজাদের কাছ থেকে কর (রাজস্ব) আদায়ের জন্য এই মেলার আয়োজন করে থাকে। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে রাজপূণ্যাহ উৎসব ‘পইংজারা পোওয়ে’ নামে সমাধিক খ্যাত।
দূর দূরান্ত থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের হেডম্যান, কারবারী তথা সাধারন লোকজন রাজার কাছে মেলার প্রথম দিন উপহার হিসাবে মুরগী, মদের হাড়ি, চাল, ধান, বাগানের ফল মূল ইত্যাদিসহ ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসে। আদিবাসী স¤প্রদায়ের প্রবীণ নেতা হিসাবে রাজার আশীবার্দ পাওয়ার জন্য সকাল থেকে দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় থেকে পাহাড়ীরা অনুষ্ঠানস্থলে এসে ভীর জমান। বোমাং সার্কেলের আদিবাসীদের কাছে রাজাকে দেবতুল্য বলে গণ্য করা হয়।
মেলাকে ঘিরে জেলার ১১ টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মন্ডিত মনোজ্ঞ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মিলন মেলা পরিণত হয়। মেলায় পুতুল নাচ,সার্কেস,নগরদোলাসহ শত শত ষ্টল বসে। ২ শত বছরের ঐতিহ্য অনুসারে প্রতিবছর রাজা প্রজাদের কাছ থেকে কর (রাজস্ব) আদায়ের জন্য এই মেলার আয়োজন করে থাকে। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে রাজপূণ্যাহ উৎসব ‘পইংজারা পোওয়ে’ নামে সমাধিক খ্যাত।
বৃটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করতো। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়। বর্তমানে রাঙ্গামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল। রাজপূণ্যাহ মেলাকে ঘিরে সকাল থেকে বান্দরবানের রাজার মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।