বিদেশে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ৫ যুবকের সাথে প্রতারণা

বিদেশে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ যুবকের সাথে প্রতারণা করে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণা মামলা করায় বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকিতে ভুক্তভোগি পরিবার শঙ্কিত হয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। মামলার বাদী মো. কাউছার উদ্দিন সোহেল আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের কান্না জড়িত কন্ঠে এ অভিযোগ করেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, কাপ্তাই বাদশা টিলার বাসিন্দা কাউছার উদ্দিন সোহেলের সাথে পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং এলাকার কাপ্তাই জেডিঘাটের অস্থায়ী দোকানদার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. হাফিজুল করিম অভি কাপ্তাই আল-আমিন নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার সুবাদে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিন বছর পূর্বে হাফিজুল করিম অভি চাকরি করার জন্য সৌদি আরবে চলে যান।

NewsDetails_03

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সৌদিআরব থেকে অভি তার বন্ধু সোহেলকে সৌদিআরবে ফ্রিতে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফোন করে বলেন, তার কাছে সৌদিআরবের ৫টি ভিসা আছে। প্রতি ভিসা খরচ পড়বে পাঁচ লক্ষ টাকা। ভিসার জন্য প্রাথমিক ভাবে দুই লক্ষ টাকা পরবর্তীতে ভিসা পাওয়ার পর বাকী টাকা পরিশোধ করতে হবে। সোহেল বর্তমানে শ্বশুর বাড়ি কাউখালী উপজেলায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে চা-পানের দোকান ব্যবসা করছেন।

সৌদি প্রবাসী বন্ধু অভির কথায় সোহেল তার কাউখালীর ঘনিষ্টজন ও প্রতিবেশীদের সৌদি ভিসার ব্যাপারে বলেন। ভিসা নিতে আগ্রহী হন মো. আকরাম হোসেন ইমন, মহিন উদ্দিন, রুস্তম আলী, সফিকুল ইসলাম ও সোহেল সহ পাঁচ জন।

কাউছার উদ্দিন সোহেল কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য চেকআপ, ট্রেনিং, এজেন্সি ও পাঁচটি ভিসা বাবদ দফায় দফায় বিকাশ, রকেট, ব্যাংক ও নগদ প্রায় ১৬ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। পরবর্তীতে ভিসা না দিয়ে আজ না কাল করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। ভিসা না পেয়ে ভুক্তভোগিরা পটিয়া অভির পরিবারকে চাপ দেয়। এ ব্যাপারে পটিয়া এলাকায় একটি সালিশি বৈঠক ডাকা হয়। টাকা ও ভিসা দেবে না বলে উল্টো বিবাদীরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কাউছার উদ্দিন সোহেল বাদী হয়ে গত ২৯ মে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে হাফিজুল করিম অভি, কামাল উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন সোহেল, সর্বসাং পটিয়া থানা ও সিমা ওভার সীজ এন্ড ট্রাভেলস এর মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারী সিআর মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত চট্টগ্রাম পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন