স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল নয়টার দিকে জেলার রুমা থেকে সড়ক পথে পায়ে হেঁটে তারা বান্দরবান সদরে আসার সময় পাহাড় ধসে এই ঘটনার শিকার হন। ঘটনায় ৭ জন নিখোঁজ থাকলেও ৪জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে একটি লাশ উদ্ধার হলেও অপর দুইজনের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। এদিকে পরিবার পরিকল্পনা কর্মী মুন্নি বড়ুয়ার ভ্যানেটি ব্যাগ উদ্ধারকারীরা উদ্ধার করলেও এই দুইজনের কোন সন্ধান মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর জেলার দমকল বাহিনীর সদস্য, সেনা সদস্য ও রেডক্রিসেন্ট এর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বান্দরবানে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারনে উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটছে, নিখোঁজ অপর দুইজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনায় সকাল থেকে বান্দরবানের সাথে রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
গত ১৩ জুন বান্দরবান জেলা শহরের বালাঘাটা, লেমুঝিড়ি পাড়া ও আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে ৬ নিহত এবং আহত হয় ৫জন। নিহত হলেন, রেবা ত্রিপুরা, লতা বড়ুয়া, মিতু বড়ুয়া, শুভ বড়ুয়া, কামরুন নাহার ও সুপ্রিয়া বেগম। আহত হন পসান ত্রিপুরা , বীর বাহাদুর ত্রিপুরা ও দুজাকিন ত্রিপুরাসহ আরো দুইজন। গত ৬ জুলাই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে পাহাড় ধসে চেমনা খাতুন নামে এক মহিলা নিহত হয়, এসময় তার মেয়ে আমেনা খাতুন আহত হয়।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ বলেন, এই ঘটনায় বেশ দুই নিঁখোজ আছে, উদ্ধার অভিযান সম্পর্ন হবার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এদিকে বান্দরবানে বর্ষণ অব্যাহত থাকলে জেলার ৭টি উপজেলার লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, থানচি, আলীকদম ও বান্দরবান সদরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এই আশংখায় স্থানীয় প্রশাসন বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিবছর পাহাড় ধসে নিহত ও আহত হবার ঘটনা ঘটে, তাই টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে স্থানীয়দের সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জোর প্রচারণা চালানো হয়।