এ উৎসবের দ্বিতীয় দিনে বাড়িতে বাড়িতে শুধূ চলে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব ও আনন্দ-পূর্তি। ঐতিহ্যবাহী খাবার পাঁচনসহ বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার দাবার আগত অতিথিদের পরিবেশন করা হয়। প্রায় অর্ধ শত প্রকারের তরিতরকারী দিয়ে রান্না হয় এ পাচন। এদিন ধনী-গরিব সবাইয়ের জন্য সবার দ্বার উন্মুক্ত থাকে। এ মূল বিজুর দিনে হৈ-চৈ করে ঘুরে বেড়ানো আর খাওয়া-দাওয়া আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় করা হয়। এছাড়াও বিশেষ উপায়ে তৈরী দোচোয়ানী (পাহাড়ী মদ) পরিবেশন করা হয়।
পার্বত্য শহর রাঙামাটি এখন যেন উৎসবের শহর, জেলার চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের রঙ। নানান সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখোর পুরো শহর। এছাড়াও বিশেষ উপায়ে তৈরী দোচোয়ানী (পাহাড়ী মদ) পরিবেশন করা হয়। ক্ষুদ্র জাতি স্বত্তার সমাজে প্রচলিত আছে এ দিন দশটি বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দোচোয়ানী খেলে সারা বছর সুস্থ থাকে। পার্বত্য শহর রাঙামাটি এখন যেন উৎসবের শহর।
আদিবাসী তরুনী রিয়ামণি চাকমা জানান, আজকের দিনে সারাদিন বন্ধুদের সাথে ঘুরবো এবং পাঁচন তরকারি খাবো,সারাবছর যেন এরকম দিন থাকে, বৈসাবি উৎসবে আমরা অনেক আনন্দ করি।
রাঙামাটির বিশিষ্ট সঙ্গীত শিক্ষত রঞ্জিত পাটোয়ারী বাসু বলেন, বৈসাবি আসলে আমাদের পাহাড় নতুন প্রাণ খুঁজে পায়। পাহাড়ি-বাঙালী এক সাথে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে। যদি সারাবছর বৈসাবি থাকতো তাহলে আমাদের পাহাড়ে সকল বৈষম্য দূরীভূত হত।
বৃহস্পতিবার সারাদিন বাড়ি বাড়ি বেড়ানো, শুক্রবার বিশ্রামের গোজ্যাপোজ্যার দিন বা নববর্ষ আর ১৬ এপ্রিল মারমা স¤প্রদায়ের সাংগ্রাই জল উৎসবের মাধ্যমে শেষ হবে পাহাড়ে প্রানের উৎসব বৈসাবি। পুরনো বছরের সব দুঃখ, বেদনা, গ্লানি, ব্যর্থতা ধূয়ে-মুছে এখন শুধু উৎসব মেতে ওঠার দিন। সব কাজ সেরে সব চিন্তা ঝেরে শুধু উৎসব আর আনন্দে কাটার দিন।