ব্যাংকে টাকা রাখাই বিপদ

ব্যাংকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জমা বা উত্তোলনের ওপর থেকে কোনো ধরনের এক্সাইজ ডিউটি বা আবগারি শুল্ক নেবে না সরকার। তবে বছরের যেকোনো সময় যেকোনো ব্যাংক হিসাবে এক লাখ এক থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত যেকোনো অঙ্কের টাকা জমা বা তোলা হলে বছর শেষে ওই হিসাব থেকে আবগারি শুল্ক বাবদ ৮০০ টাকা কাটা হবে। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর এই শুল্ক কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয় ব্যাংকগুলো। সারা বছরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারী যদি একবারও এমন লেনদেন না করে ৩০ ডিসেম্বর একবারের জন্য এমন অঙ্কের লেনদেন করেন তাহলেও নির্ধারিত হারে আবগারি শুল্ক দিতে হবে। আগামী ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে নতুন এই আবগারি শুল্ক হার কার্যকর করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেটে এক লাখ এক থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ওপর আবগারি শুল্ক ধার্য আছে ৫০০ টাকা। নতুন অর্থবছরে সেটি বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হলে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হবে না গ্রাহককে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন আবগারি শুল্কমুক্ত রাখা আছে। আর ২০ হাজার এক টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জমা ও তোলার ওপর আবগারি শুল্ক ধার্য আছে ১৫০ টাকা।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে ১০ লাখ এক টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ওপর দুই হাজার ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একই অঙ্কের ওপর এক হাজার ৫০০ টাকা নিচ্ছে সরকার।

NewsDetails_03

আগামী অর্থবছরে এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ওপর ১২ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে। একই অঙ্কের লেনদেনের ওপর চলতি অর্থবছরে সাত হাজার ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে পাঁচ কোটি এক টাকা থেকে এর ওপরে যেকোনো অঙ্কের লেনদেনে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে একই অঙ্কের লেনদেনে আবগারি শুল্ক বাবদ দিতে হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ফলে ব্যাংকিং লেনদেন দিন দিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তিনি সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট অ্যাক্ট, ১৯৪৪ বাস্তবায়নে কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেন।

জানতে চাইলে মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, ‘শোনা যাচ্ছিল ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে ১০০০ টাকা এক্সাইজ ডিউটি আরোপ করা হবে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ৮০০ টাকার প্রস্তাব করায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেল। ’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

আরও পড়ুন