ভাঙ্গনের কবলে আলীকদমের গয়াম ঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

NewsDetails_01

আলীকদমের ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সহায়তায় বিদ্যালয়টি রক্ষার চেষ্টা করছে স্থানীয়রা
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার গয়াম ঝিরি পঞ্চবিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চলতি বর্ষার ভারী বর্ষণের যে কোন সময় বিদ্যালয়টি গয়ামঝিরিতে ধসে পড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও স্থানীয় জনসাধারন। এতে আতংকে রয়েছে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ১০০ বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় স্কুল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিদ্যালয়টি নির্মিত নির্মাণ করে। নয়াপাড়া ইউনিয়নের গয়াম ঝিরির পাশ ঘেঁষে অপরিকল্পিত ভাবে স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিদ্যালয়টি নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ৬১ লাখ টাকা। পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ না করায় ৪ বছরের ব্যবধানে বিদ্যালয়টি ঝিরি ভাঙ্গন কবলে পড়ে। এছাড়া বিদ্যালয় নির্মাণকালেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠে নানা অভিযোগ। গত বছর এবং চলতি বর্ষায় প্রবল বর্ষণে গয়াম ঝিরির পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের পাশে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বর্তমানে ভাঙ্গনটি বিদ্যালয়ের পূর্বপাশের ৪-৫ ফুটের মধ্যেই চলে এসেছে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা করা না হলে যে কোন মুহর্তে বিদ্যালয়টি ভবনটি ঝিরিতে ধসে পড়তে পারে।
নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোগ্য মার্মা বলেন, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে এলজিইডির প্রকৌশলীসহ বিদ্যালয়ের ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। তবে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ হাতে নেই বলেনও জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর জানান, ভাঙ্গন নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা শংকিত হয়ে পড়েছেন। তাই দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আলীকদম উপজেলা প্রকৌশলী হেলাল রহমান জানান, বুধবার উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিদ্যালয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থবছর শেষ হওয়ায় কোন বরাদ্দ হাতে নেই, তারপরও ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন