ভান্তের সৎকার নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয় !

পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের সভাপতি উপঞঞাঁনন্দ মহাথের

purabi burmese market

পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের সভাপতি ও রোয়াংছড়ি বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ উপঞঞাঁনন্দ মহাথের বলেছেন, ভান্তেরা সর্বত্যাগী । সবকিছু ত্যাগ করে শ্রমণ হয়েছেন, ওনাদের জন্য নির্ধারিত কোন নিয়ম নীতি নেই । কোন ভিক্ষু নিজ বিহারের বাহিরে মারা গেলেও তাকে সৎকার করার জন্য নিয়ে আসা যাবে । এ নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয় ।

আজ শনিবার (১৬মে) দুপুরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপঞঞাযোত মহাথের (উচহ্লা) এর মরদেহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের লক্ষ্যে আয়োজিত কমিটির সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ভাঙামুরা পাড়া বৌদ্ধ বিহারাধ্যক্ষ উপঞঞা মহাথের , বান্দরবান বালাঘাটা বিমুক্তিসুখ বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ উ: সুন্দরানন্দ মহাথের, ওয়াব্রাইং পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ উ: ইন্দাচার মহাথের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বালাঘাটা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত তেজপ্রিয় মহাথের, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়াম্যান ক্যশৈহ্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং, বোমাং রাজার প্রতিনিধি মংনুপ্রু, রাজকুমার বোমংপ্রু, হেডম্যান এসোসিয়েন প্রতিনিধি মংথোয়চিং হেডম্যান ।

এদিকে উচহ্লা ভান্তের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে এরইমধ্যে গঠন করা হয়েছে ১১৩ সদস্যর কমিটি ।

প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ও পর্যটনকেন্দ্র স্বর্ণ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উপঞঞাযোত মহাথের (উচহ্লা ভান্তে)।েএর পরও হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয় । পরে ভান্তের লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে । পরে চট্টগ্রামের রাউজানের খৈয়াখালি বৌদ্ধ বিহারে তার মরদেহ রাখা হয় ।

dhaka tribune ad2
আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।