আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় মোবাইল ফোন বাইরে রেখেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কারণ, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আগে থেকেই নির্ধারিত থাকা এই বিধানের কথা শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। কেবলমাত্র সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা পেশাগত কাজের কারণে যথাযথ পরিচয় দিয়ে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী।
সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, ভোটকক্ষে কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সাংবাদিকরা মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করে ছবি তুলতে পারবেন। কিন্তু ভোটকক্ষে মোবাইলে কথা বলতে পারবেন না। সাংবাদিকদের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিষয়েও একই ধরনের নির্দেশনা মানতে হবে।
এরপর মোবাইলের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে অপর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘অনেক প্রার্থী আছেন যারা ভোটারদের ভোট দিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে এনে দেখাতে বলেন। তারা দেখতে চান ভোটাররা কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। এই ধরনের অনিয়ম রোধ করার জন্যই আমরা বলেছি কেন্দ্রে কোনও রকমের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।’
এসময় ভোটকক্ষে ছবি ধারণ করে ভোটকেন্দ্র এলাকা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা, ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে বেশি সাংবাদিক ও বেশি টিভি চ্যানেল প্রবেশ না করাসহ সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশনা মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
নির্বাচনের সময় ইন্টারনেটের গতি কমানো ও মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।