‘মুরুক্ষ্যং মৌজার সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন মংছোরি কার্বারী, জোগেষচন্দ্র চাকমা, ব্যবসায়ী নুরুল আমিন, স্বপন চক্রবর্তী এবং বিজয় বড়–য়া। মানববন্ধনে কয়েকটি পাড়ার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, ২০০১ সাল থেকে এলাকায় সবার সাথে সহাবস্থান করে আসছেন মংপু হেডম্যান। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মৌজাবাসীদের যাবতীয় সহযোগিতাও দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু এলাকার একটি প্রতিপক্ষ তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়। এই সুযোগে জেলা প্রশাসক তাঁকে হেডম্যানের পদ থেকে সাময়িক অপসারন করেছে।
মানববন্ধন থেকে হেডম্যানের পদে পুর্ন:বহালের দাবি জানান বক্তারা।
মানবন্ধন শেষে তাঁর হেডম্যান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে মংপু মারমা বলেন, ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র পদে প্রার্থী হই। এতে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বিজয়ী হয়। বিজয়ী পক্ষ ১০ বছর আগে মারা যাওয়া লক্ষীমোহন কার্বারী নাম দিয়ে হেডম্যান পদ থেকে অপসারনের জন্য একটি মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। এরই ভিত্তিতে ২০১৭ সালে জুলাই মাসে জেলা প্রশাসক তাঁকে হেডম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
আইনি লড়াই চালিয়ে সামরিক বরখাস্ত বিষয়টি উচ্চ আদালতের বিচারধীন বলেন জানান তিনি।
1 মন্তব্য
আপনার মন্তব্য লিখুন
বান্দরবান সদরে বাঘমারা হেডম্যান পাড়াতে গতকাল ১৮/১২/২০১৭ইং তারিখ ছিল ( মার্মাদের রীতি অনুযায়ি পাড়ার মানুষ মারা যাওয়াতে ) সদকার ও দান-ধর্মকর্ম করার অনুষ্ঠান। গত সপ্তাহে পাড়ায় স্বাভাবিক ভাবে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছিল, তার স্বরণে এই অনুষ্ঠান। সেখানে যার স্বরণে এই অনুষ্ঠান তাদের আত্বীয় স্বজন বিভিন্ন মৌজা, ইউনিয়ন ও দূর দূরান্ত এলাকা থেকে শ-খানিক লোকজন আসে। কিন্তু, এই মংপু সে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সবার চোখকে ধোঁলো দিয়ে মানববন্ধনের নামে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা ,অপপ্রচার , কা-পুরুষোচিত সংবাদ তৈরী করে। যারা মার্মা সম্প্রদায় তারা চিন্তা করে দেখুন, কোন পাড়ার সমাজে এমন শোকের বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলা প্রাক্কালে একি স্হানে রাজনৈতিক বা হেডম্যান পদটি ফিরে পাওয়ার উদ্দেশ্যে কোন মানববন্ধনের মত অনুষ্ঠান চলতে পারে কিনা। অথচ, এই মংপু সেখানেই তার মানববন্ধনটা করে। কারন, অন্যত্র যদি মানববন্ধন করতে গেলে যে লোকবল প্রয়োজন হয়, তা সে পাবে কোথা থেকে ? অত্র মৌজার লোকজনতো তাকে কোনক্রমে গ্রহন করেনা/ করবেও না। তার যদি বিন্দুমাত্র জনপ্রিয়তা বা ক্ষমতা থাকতো, তাহলে কোন পাবলিক প্লেইসে না করে সেখানে করেতো না।
এই হল মৌজাবাসীকে মংপুর নোংরামি রাজনীতি।