মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলার চার পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং শুভেচ্ছা স্মারক দেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্স’র ড্রিলশেড হলে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, এডিশনাল ডিআইজি ও এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট আওরঙ্গজেব মাহবুব।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় একাত্তরের রণাঙ্গনে সাহসী অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ পুলিশ বীর সদস্য যথাক্রমে এএসআই ভুপেন ত্রিপুরা, কনস্টেবল নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল কাবিল মিয়া এবং কনস্টেবল অংকিউ মগকে ফুল, নগদ অর্থ এবং পরিধেয় দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হায়েনা প্রথম হামলা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে। নিরীহ পুলিশ সদস্যদের রক্তরঞ্জিত পথ বেয়ে হামলা করা হয় ইপিআর-এ। দেশের মুক্তি সংগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র যুদ্ধ প্রস্তুতির ঘোষণা সারাদেশে পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাই সারাদেশে ছড়ি দিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডিশনালা ডিআইজি আওরঙ্গজেব মাহবুব বলেন, পঁচাত্তরের পনের আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার সময় প্রাণ দেন প্রতিবাদী পুলিশ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান। তাই একাত্তরের রণাঙ্গনে পুলিশ বাহিনীর এই ত্যাগ-উৎসর্গ কখনো হারিয়ে যাবার নয়। বরং মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা’র সঞ্চালনায় সম্পন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)-এর সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সভাপতি সুদর্শন দত্ত।
এসময় মঞ্চে অতিথি হিসেবে অতি: পুলিশ সুপার কে. এম. এইচ. এরশাদ, এ. এস. পি. (ডিএসবি) চৌধুরী মো: তানভীর, সদর থানার ওসি মুহাম্মদ রশিদ এবং ডিআইআইও (ওয়ান) আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।