খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলার ৪নং মাইসছড়ি ইউনিয়নের নুনছড়ি গুচ্ছগ্রামে এক গরিব অসহায় গৃহবধুকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ভূক্তভোগী সুমি আক্তার (২১) নিজে বাদি হয়ে নুনছড়ি গুচ্ছগ্রামের মোঃ আব্দুল কাদেরের বড় ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩২) এর বিরুদ্ধে মহালছড়ি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মোঃ আনোয়ার ভূক্তভোগীর প্রতিবেশি এবং সম্পর্কে মামা হন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গৃহিনী নিজ বাড়িতে গৃহস্থলীর কাজ শেষে গোসল করতে গেলে প্রতিবেশি মামা ধর্ষণ চেষ্টা করেন। এ সময় নিজের সম্মান বাঁচাতে ভূক্তভোগী নারী চিৎকার করলে এলাকাবাসী আসতে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সুমি আক্তার বলেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন সম্পর্কে আমার প্রতিবেশী এবং আমার স্বামী তাকে মামা বলে সম্মোধন করেন, বাসা পার্শ্ববর্তী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমাকে নানাভাবে যৌন নিপীড়ন করে যাচ্ছিলেন, গতকাল আমার স্বামী দিন মজুরির কাজে যাওয়ার পর শাশুড়ি বাড়িতে না থাকার বিষয়টি ওনি খেয়াল করেন। আমি দুপুরে আমার মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে গোসল করতে গেলে প্রথমে ওনার বাসার জানালা দিয়ে দেখেন, সুযোগ বুঝে বাড়ির পিছন দিয়ে এসে আমাকে গোসলরত অবস্থায় জড়িয়ে ধরেন, নিজেকে রক্ষা করতে চিৎকার করলে এলাকাবাসী আসার শব্দ শুনে ওনি দৌড়ে পালিয়ে যান। এমনকি ঘটনা জানাজানি হচ্ছে বুঝতে পেরে এই বিষয়ে ওনি আমার শশুরকে ফোন করে হুমকি ও ৫০ হাজার টাকায় ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। কথা বলার সময় কল রের্কড রয়েছে ফোনে।
মুঠোফোনে হুমকি ও ৫০ হাজার টাকায় মামলা তুলে নেয়ার বিষয়টা সম্পর্কে শশুর মোঃ ছালামের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কান্নারত অবস্থায় বলেন, কষ্টে আত্মহত্যা করার ইচ্ছে করছে, শুধু আমার পুত্রবধুই না আমার স্ত্রীকে পর্যন্ত কিছু দিন আগে ৫০০ টাকায় অবৈধ কাজ করার প্রস্তাবনা দিয়েছেন, সমাজে নিজেদের সম্মানের কথা চিন্তা করে কিছুই বলিনি যার ফলে আজ নিজের ছেলের বউকে এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হলো।
এই মামলার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুল আওয়াল জানান, গতকাল রাতে মামলাটি রুজু করা হয়েছে, থানার একটি পুলিশের টিম বিশেষ অভিযান ও পরিচালনা করা হয়েছে এরই মধ্যে, কিন্তু আসামী ঘটনার পরপরই পালিয়ে যাওয়ার তাকে গ্রেফতার সম্ভব হয়নি,তবে খুব দ্রুত আসামীকে গ্রেফতার করে সত্যি মিথ্যা যাঁচাই করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।