সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা মাঠে কাজে ব্যবহারের জন্য নিম্নমানের ২সুতা রড এনে মজুদ করা হয়েছে। সাথে রয়েছে ইটের খোয়া ও মাটিযুক্ত বালি। তবে কাজের স্থলে গিয়ে পাওয়া যায়নি ঠিকাদার শাহজালালকে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ধরনের নিম্ন মানের রড ব্যবহার না করতে এবং সরিয়ে নিতে বার বার বলা হলেও কিন্তু কর্ণপাত করছে না ঠিকাদার ও কাজের শ্রমিকরা।
সেখানে দেখা যায়, মুল ভবনের নিচের অংশে ও টয়লেটে ব্যবহার করা হচ্ছে এই রড। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মাটিরাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, কাজের অনিয়মের ফলে সরকারের বিশাল অঙ্কের বরাদ্দ দিলেও কাজের গুনগত মান খারাপ হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে ভয় আর আতঙ্কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সময় কাটবে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
মাদ্রাসা সুপার সলিমুল্লাহ কাজে নিম্নমানের রট ব্যবহারসহ অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে বলেন, কাজে কিছু অনিয়ম হয়েছে। পুরাতন নিম্মমানের রটও ব্যবহারও করা হয়েছে। বর্তমানে পরিক্ষার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমি পুরাতন এই রট ব্যবহারে বাধা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। কর্মস্থলে থাকা বাকী নিম্মমানের রটগুলো কাজে ব্যবহার করতে দেবেন না তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঠিকাদার খাগড়াছড়ির বাসিন্দা শাহ জালালের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এলাকাবাসী এ অনিয়মের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ কাজের গুণগতমান ঠিক রেখে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের দাবী জানান।