খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৯০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় গুরুতর জখম, শ্লীলতাহানি, চুরি, আগুনে পুড়িয়ে ও ভাংচুর করে ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সোমবার(২৬ আগষ্ট) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাদির নিজ বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্য গুরুতর জখম, শ্লীলতাহানি, চুরি, আগুনে পুড়িয়ে ও ভাঙ্গচুর করে ক্ষতি সাধন, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানের অপরাধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাষ চাকমাকে প্রধান আসামি করে ৯০ জনের নামোল্লেখ করে আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি. ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক সংসদ সদস্য পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা কে প্রধান আসামী করে হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট, গুরুতর জখম করে, চাঁদাবাজি, চুরি ও হুকুম প্রদানের অপরাধে গত ২২ আগষ্ট মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে ১৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এ মামলায় ১০০/১৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
একই দিনে গত ৭ জুলাই, ২০২২ খ্রি. অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা, হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে জখম, চুরি, চাঁদাবাজি, হুমকি ও হুকুম প্রদানের অপরাধে মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বাদি হয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা কে প্রধান আসামী করে আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মীর জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এতে ৬০/৭০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনিয়ে পৃথক তিন মামলায় ৪৮৯ জনের নামোল্লেখ করে প্রায় ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।