একই মাসে নববর্ষ-ঈদ কে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
আগামীকাল নববর্ষ। পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব এটি। এর এক সপ্তাহ খানেক পরেই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। পাহাড়ী ও মুসলমান সম্প্রদায়ের দুই বড় উৎসবকে কেন্দ্র করে মাটিরাঙ্গার ফুটপাত দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় কাপড়ের দোকান, ফ্যাশন হাউজে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। সাধ এবং সাধ্যের সমন্বয় করে নিজেকে ও পরিবারকে সাজিয়ে তুলতে পছন্দের পোশাক কিনতে চান সবাই। তাই ছুটছেন বিভিন্ন দোকান, বা শপিংমলে।
বেতন ও নববর্ষের উৎসব ভাতা পেয়ে অনেকেই আগেভাগে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। নতুন কোন কোন পোশাক এসেছে মার্কেটগুলোতে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন অনেকেই। এ মুহূর্তে সবার নজর পহেলা বৈশাখ ও ঈদের পোশাকের দিকে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহের শেষ ছুটির দিনে মাটিরাঙ্গার ফ্যাশন হাউজগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ক্রমাগত তাপমাত্রা বেশি হবার দরুন সকাল থেকেই দোকানগুলোতে কেনাবেচার ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকেই প্রায় সব দোকানেই ছিল ক্রেতা সমাগম। কাউকে পছন্দের পোশাক কিনতে, কাউকে পোশাকের ছবি তুলতে ও ভিডিও কলে প্রিয়জনকে পোশাক দেখাতে দেখা গেছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বলছেন, এবার পোশাকের দাম চড়া। গত বছরের তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে পোশাকের।
পোশাকের ক্ষেত্রে ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাবি ও পায়জামা। মেয়েদের পছন্দ ওয়ানপিস, থ্রিপিস ও অন্যান্য পোশাক। বাচ্চাদের জন্য অভিবাবকরা নিচ্ছেন শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া, ফ্রক ও নিমা।
এদিকে, পোশাকের মান নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের বিস্তর অভিযোগ। এমনকি গত বছরের পোশাক এবছর রেখে সেগুলোর বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, এবার ও ঈদ ও পহেলা বৈশাখ (নববর্ষ) কাছাকাছি সময় হওয়ায় বাড়তি বিক্রির আশা করছেন তারা। এরই মধ্যে যারা বেতন পেয়ে গেছেন, তারা আগেভাগে ছুটে আসছেন মার্কেটে। এখন পোশাক ও জুতা কিনছেন। এপ্রিলের ২০ তারিখ পর্যন্ত এভাবে পোশাক কেনাকাটার ভিড় থাকবে। তারপর ঘর সাজানোর তৈজসপত্র ও ক্রোকারিজ পণ্যের বিক্রি বাড়বে।
তারা আরো বলেন, বর্তমানে সুতার দাম বেশি, মজুরিও বেশি। আবার আমদানি করে আনা উপকরণের দামও বেশি। এসব কারণে এবার পণ্যের দাম কিছুটা বেশি।
ক্রেতা মো: আলিম বলেন, নিজের পরিবারের জন্য পান্জাবি কিনবো। তবে গত বছরের চেয়ে পান্জাবির দাম বেশি। তাই যাচাই করে কিনবো। কম দামে ভাল কাপড় কিনতে সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য্য হারাবো না।
ক্রেতা রোকসানা আক্তার বলেন, আমি মেয়েদের জন্য জামা কিনবো তবে দাম বেশি হওয়ায় চিন্তাতা ভাবনা করে কিনবো ভাবছি।
মা-মণি ফ্যাশন হাউসের মালিক, ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানে সব ধরণের কাপড় রয়েছে। এবারে ও কাপড়ের দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে বিধায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাটিরাঙ্গা বাজারে চয়েস শপিং সেন্টারের সত্বাধিকারী জানান, এ বছর পান্জাবির চাহিদা বেশি, আমার দোকানে ভাল কালেকশন থাকা সত্বেও এ বছর ভালই বিক্রি হচ্ছে।