হরতাল চলাকালে পিকেটিং-এর সময় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতাকর্মী আটক হয়েছে।
আটককৃতরা হচ্ছে,মাটিরাঙ্গার গুমতি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল্লাহ আল, সদস্য মো. কাউছার মিয়া, মো. হানিফ মিয়া, আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মো. মনির হোসেন, সদস্য আব্দুল লতিফ তবলছড়ি ইউনিয়নের ছাত্রদলের সদস্য নেতা মো. রাকিব, মো. কায়েস সরকার, মো. আয়ুব আলী, তাইন্দং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের আহবায়ক রমজান আলী, তাইন্দং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য্য সচিব সাদ্দাম হোসেন, তাইন্দং ইউনিয়নের সদস্য সচিব মোস্তফা কামাল, তাইন্দং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দিন, তবলছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ মেহেরাফ হোসেন অপু ও গ্রিন হিল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. সবুজ।
এছাড়াও হরতালের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল ও টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। হরতালের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি। আভ্যন্তরীণ সড়কেও যানবাহন চলাচল কিছুটা কম ছিল।
এদিকে বুধবার রাতে মাটিরাঙ্গায় অন্তত ২৫টি যাত্রীবাস, প্রাইভেটকার, সিএনটি ও পণ্যবাহী ট্রাক ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা বাইল্যাছড়ির যৌথ খামার নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত যাত্রী ও চালকরা জানান, সমতলের বিভিন্ন স্থান থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো বাইল্যাছড়ি যৌথ খামার এলাকায় পৌছলে ৫০/৬০ জনের একটি দল রাস্তায় গাড়ির গতিরোধ করে লাঠিপেটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অন্তত ১৫টি বাস, প্রাইভেট কার, পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি করে ভাঙচুর ও একটি তেল বোঝাই গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ব্যাপক বোমাবাজি করে দুর্বৃত্তরা। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে এক নারী যাত্রীও রয়েছে। তাকে উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অপর আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জোর তৎপরতা চালায় পুলিশ। সড়কের বিভিন্নস্থানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করে। পুলিশি পাহারায় আটকে পড়া গাড়িগুলোকে গন্তব্যে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কল এড়িয়ে যান।