মাঠ নয়, যেন ধান ক্ষেত !

NewsDetails_01

রাঙামাটি আল আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার মাঠ
সবুজ আগাছা চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মাঠে কাঁদা আর পানিতে একাকার। প্রথমে দেখাতেই যে কারো মনে হবে, এটি মাঠ নয়, কোন ধানক্ষেত। কাঁদা পানি ও আগাছা ভরা মাঠে পা রাখার উপায় নেই শিক্ষার্থীদের। কর্দমাক্ত মাঠে দীর্ঘদিন ধরে খেলতেও পারছে না তারা। বন্ধ রয়েছে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনও। এমন অবস্থাকে সামনে রেখে চলছে রাঙামাটি আল আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মাঠ সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে মাদ্রাসার মাঠটি।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে এই মাদ্রাসার মাঠ যেন কর্দমাক্ত ধানক্ষেতে পরিণত হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারে ছোঁয়া লাগেনি ওই মাদ্রাসার মাঠটির। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মাঠ সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার নোংরা ড্রেনের পানি মাঠে প্রবেশ করে। যার ফলে ওই নোংরা পানিতে শিক্ষার্থীরা চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি পানি জমে থাকার ফলে মাদ্রাসার জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করা হয় না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উন্নয়ন সহযোগী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে মাদ্রাসার খেলার মাঠে ও আঙ্গিনায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কাদামাটি ও সবুজ আগাছায় ভরে গেছে। মাঠের চারপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় ময়লা-আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টির পানিতেই ড্রেন উপচে ও আশপাশের নোংড়া পানি মাদ্রাসা ও খেলার মাঠে এসে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। কখনো কখনো ভারি বৃষ্টিতে মাঠে পানি এতটাই বেড়ে যায় মাদ্রাসার এক ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা- যাওয়া করতে কষ্ট হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, মাঠটি সংস্কার করা গেলে এই দুরাবস্থা আর থাকবে না। নোংড়া পানি কাঁদামাটি মাড়িয়ে তাদের ক্লাশ করতে যেতে হয়। অন্যদিকে মাঠে পানি জমে থাকায় খেলাধুলা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় না। মাঠে মাটি ফেলে একটু উঁচু করে এবং পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরি করে দিলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
এই ব্যাপারে আল আমিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আলম ছিদ্দিকী বলেন, মাদ্রাসার মাঠটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত কোন ফল পাইনি। তিনি আরো বলেন, অনুপযোগী মাঠের কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। মাঠটি যদি ২ থেকে ৩ ফুট মাটি ভরাট করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে ৭ শত শিক্ষার্থীর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপকার হয়।
এদিকে অতি দ্রুত মাঠটি সংস্কারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন