খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উদ্যোগে কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ৩দিন ব্যাপী ফলদবৃক্ষ রোপন পক্ষ-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও মেলার শুভ উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধন শেষে আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। ফলদবৃক্ষ রোপণ পক্ষ ২৮জুন থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। দিবসটি উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি দিবে নতুন মাত্রা’
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সৈয়দ মো. ফরিদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়াম্যান রাহেলা আক্তার, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদ, উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর উমংহ্লা মারমা, উপজেলা কারিতাস ব্যবস্থাপক মো. সোলায়মান, খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প ব্যবস্থাপক গীতা চাকমা, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন গুপ্ত, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন, মহসিনুল হক পাটোয়ারী, মো. শাহ আলম, নুর মোহাম্মদ ভুঁইয়া, অঞ্জন কুমার নাথ প্রমূখ।
বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব সরকার উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার সহযোগিতা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়ে কাজ করায় কৃষি ফলন উৎপাদন বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার ফসল বাড়ানোর জন্য প্রনোদনা হিসেবে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে।
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা নাছির উদ্দিন চৌধুরী (অ:দ:) বলেন, বিশেষ করে জুন, জুলাই ও আগষ্ট এ তিন মাস চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। চারা রোপনের সময় অবশ্যই নিয়ম মেনে চারা লাগাতে হবে। তাহলে ফল ভাল হবে। কমপক্ষে ২০-২৫ফুট দূরে চারা লাগাতে হবে। যাতে করে চারা গাছ গুলো পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায়। পর্যাপ্ত আলো বাতাস আর সঠিক পরিচর্যা পেলে কৃষক অবশ্যই লাভবান হবেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বর্তমানে কৃষকদের উন্নতির লক্ষে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উত্তির্ণ করা হয়েছে। যাতে তারা মাঠে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ প্রদান করে দেশের অগ্রযাত্রাকে আরও প্রভাবিত করতে পারে। পরে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক-কৃষানীদের মাঝে বিভিন্ন জাতের ফলদবৃক্ষ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।