মানিকছড়ির মংরাজবাড়ী পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

মানিকছড়ির মংরাজবাড়ী পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান
মং সার্কেলের প্রয়াত মংরাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মম্প্রুসাইন বাহাদুরের স্মৃতিবিজড়িত মংরাজবাড়ী পরিদর্শন করলেন বিভাগীয় কমিশনার। খাগড়াছড়ি জেলা সফরের দ্বিতীয় দিন গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিভাগীয় কমিশনার মানিকছড়ির মং রাজবাড়ী পরিদর্শনে আসলে প্রয়াত রাজার জামাতা রাজীব রায় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান গত ১৭ ডিসেম্বর দু’দিনের সরকারি সফরে খাগড়াছড়ি আসেন। জেলায় প্রবেশের সময় তিনি মানিকছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন, প্রকল্প উদ্বোধন ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা সভায় যোগদান করেন।
১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ফেরার পথে বিভাগীয় কমিশনার বিকাল ৫টায় মানিকছড়ির‘রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি চালু হওয়া’‘সততা সংঘ’উদ্বোধন করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোফাজ্জাল হোসেন তাকে স্বাগত জানান।
পরে তিনি পার্বত্য এ জনপদের মংসার্কেলের আবাসস্থল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত রাজপ্রসাদ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় প্রয়াত রাজা মম্প্রুসাইন বাহাদুরের জামাতা রাজীব রায় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং কুশল বিনিময় করেন। বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান প্রয়াত মংরাজা বীর মুক্তিযুদ্ধা মম্প্রুসাইন বাহাদুরের বিভিন্ন স্মৃতি ঘুরে দেখেন। এ সময় মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ম্রা গ্য মারমা, নির্বাহী অফিসার মো. আহ্সান উদ্দীন মুরাদ, অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দীন খান, দুপ্রক সভাপতি মো. আতিউল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম.কে. আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক, হিন্দু বিবাহ নিকাহ রেজিস্ট্রার বাদল বরণ সেন ও রাজপ্রতিনিধি রাখাল চন্দ্র নাথ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধাকালীন সময়ে মংরাজা মম্প্রুসাইন বাহাদুর তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে তৎকালীণ সময়ে ১১শত ডলার টাকা সরকারি তহবিলে জমা দেন এবং দু’টি জীপ গাড়ী ও অসংখ্য অস্ত্র মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কিন্তু স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও প্রয়াত রাজা মম্প্রুসাইন বাহাদুরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি কোন সরকার।

আরও পড়ুন