মানুষ ১ জন, নিচ্ছেন ২ সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতা !

সেলুকাস

NewsDetails_01

একটি সরকারি চাকরি যেখানে সোনার হরিণ, সেখানে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একসাথে ২ সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও অবসর ভাতা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে। একটিতে তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেডকুক, অপরটিতে বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত কুক।

অভিযুক্ত ব্যক্তি খাগড়াছড়ির দীঘিনালার কাঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেডকুক মোঃ সেলিম তালুকদার।

জানা যায়, ১৯৯৩ সালে তিনি কুক হিসেবে বিজিবিতে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বিজিবি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর কাঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হেডকুক হিসেবে যোগদান করেন। পাশাপাশি গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত একসাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন ও বিজিবির অবসর ভাতা একসাথে ভোগ করে আসছিলেন। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বরে iBAS++(অনলাইন) পদ্ধতিতে বিদ্যালয়ের বেতন ভাতার বিল দাখিল করা হলে তার নাম পেনশনভোগী হিসেবে প্রদর্শিত হয়। পরে তার বিদ্যালয়ের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী, মোঃ সেলিম তালুকদার রাঙামাটির মারিশ্যা মুসলিম ব্লকে সিরাজুল ইসলাম ও মাতা জহুরা বেগম দম্পত্তির ঘরে ১৯৭৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ছোটমেরুং এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে এ ঠিকানায় ১৯৯৩ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিজিবিতে কুক হিসেবে যোগদান করেন।

NewsDetails_03

সূত্র মতে, চলতি বছরের ২৬ মে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতিমা মেহের ইয়াসমিন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে মোঃ সেলিম তালুকদারের iBAS++ (অনলাইন) পদ্ধতিতে বন্ধ থাকা বেতন ভাতা নিয়মিতকরনের আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও অবসরভাতা গ্রহনের বিষয়টি মোঃ সেলিম তালুকদার জানতেন না। বিষয়টি জানার পর তিনি বিজিবির পেনশন বহিঃ বিজিবি সুনামগঞ্জ সদর দপ্তরে সমর্পণ করেন এবং গৃহীত পেনশনভাতা ফেরত দেবার অঙ্গীকার করেন৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোঃ সেলিম তালুকদার জানান, উল্লেখিত বিষয়ে লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কতৃপক্ষ কোন সিদ্ধান্ত নেয় সেই অপেক্ষায় আছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুস্মিতা ত্রিপুরা বলেন, সমস্ত বিষয়াদি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন