ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমা [/captionইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমা হত্যাকাণ্ডের ৭দিন পর প্রতিপক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) ও সদ্য গঠিত ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের শীর্ষ ১৭ নেতাকে আসামী করে খাগড়াছড়ির আমলি আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার মিঠুন চাকমার জেঠাত ভাই অনি বিকাশ চাকমা বাদি হয়ে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো: নোমানের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে জেএসএস-এমএন লারমা’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমা ওরফে মেজর পেলে, একই দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, সহ-সভাপতি ও রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. শক্তিমান চাকমা, সদ্য গঠিত ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক’র আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, সদস্য সচিব শ্যামল কান্তি চাকমা জলেয়াসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে। আসামীদের সবাই জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক এর নেতা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান আদালত থেকে এবিষয়ে কোন কিছু পাননি বলে জানান।
গত ৩ জানুয়ারি শহরের স্লুইচ গেট এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ৬ জানুয়ারী একটি মামলা দায়ের করেন। মিঠুন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ৬ ও ৭ জানুয়ারী খাগড়াছড়ি জেলায় দুইদিন সড়ক অবরোধ পালন করে ইউপিডিএফ। হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ ৭ দফা দাবিও উত্থাপন করেছে সংগঠনটি।