মিশ্র ফলের বাগান করে দেওয়া হবে-বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠানের র‌্যালিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিসহ অনেকে
নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠানের র‌্যালিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিসহ অনেকে
জুম চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফলের চাষ করে সবাই লাভবান হতে পারে। যাদের নিজস্ব জমি রয়েছে এবং ফল উৎপাদনে আগ্রহী তাদেরকে বিনামুল্যে সার ও বীজসহ সকল সুবিধা প্রদান করে মিশ্র ফলজ বাগান করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়েনে ক্যামলং পাড়ায় মারমা সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব পালন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ।
bandarban-marma-nabana-pic-06-0ct-2016-1মন্ত্রী আরো বলেন, বিনামুল্যে সার ও বীজসহ সকল সুবিধা প্রদান করে মিশ্র ফলজ বাগান গড়ে তুলতে অর্থায়ন করবে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড । ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারাম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ক্য সা প্রু । এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরৗ, সিভিল সার্জন ডা: উদয় শংকর চাকমাসহ আদিবাসী নেতারা ।
এর আগে উৎসবকে ঘিরে সকালে ক্যামলং পাড়া থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয় । শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে । পরে মারমা পাড়া জুমঘরে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়।এসময় অনুষ্টানে দেবতার উদ্দেশ্য জুমের ফসল উৎসর্গ এবং বিশেষ প্রার্থনা করা হয় ।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পাহাড়ের জঙ্গল কেটে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এপ্রিল মাসে পাহাড়ের গায়ে গর্ত খুঁড়ে ধান, ভুট্টা, মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, মারফা, চিনার, তিল, তুলাসহ নানা ফসলের বীজ বোনা হয়। সময়মতো বৃষ্টিপাত হলে মে-জুনের মধ্যেই বেড়ে ওঠে ফসলের চারা। এরপর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ধাপে ধাপে একেক ধরনের ফসল ঘরে তোলার পালা। ফসল কাটার আগে মারমা, ম্রো, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরাসহ অন্য জনগোষ্ঠীরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

আরও পড়ুন