মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই নতুন প্রজন্মকে এগোতে হবে: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

purabi burmese market

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক অন্ধকার সময় তৈরি করা হয়েছিলো। ইতিহাস থেকে মুক্তি সংগ্রামের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং দেশপ্রেম’র প্রকৃত মূল্যবোধকে আড়াল করার অপচেষ্টা অব্যহত রাখা হয়েছিলো। সেই অন্ধকার সময় পেরিয়ে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর পাহাড়ে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ’র বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদার শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাহাড় থেকে সমতল, ভূমি থেকে আকাশ এবং সমুদ্র সাগরে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ প্রসারিত করেছেন। বৈষম্যহীন সমাজ ও দেশ গঠনে বৈশ্বিক নেতৃত্বের সুমহান নজির স্থাপন করেছেন। তাঁর দেখানো পথ ধরেই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে এগোতে হবে।

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে অধ্যক্ষ প্রফেসর মিছবাহুদ্দীন আহমদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি’র জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল ও কলেজ’র অধ্যক্ষ লে: কর্ণেল এনামুল ইসলাম, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতি: পুলিশ সুপার কে এইচ এম এরশাদ এবং খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ’র সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক অর্জিতা খীসা কলেজ’র শিক্ষক সঙ্কট, সীমানা প্রাচীর এবং ছাত্রী হোস্টেল চালু করার দাবি জানান।

dhaka tribune ad2

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খাগড়াছড়ি শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে তিন ভাগের এক ভাগ, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুমোদিত পদের অর্ধেক শিক্ষক থাকার তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি সরকারের প্রতিশ্রুত মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষে সরকারি কলেজ এবং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক পদায়নের জন্য সংসদ সদস্য’র সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সূচিত সভায় কলেজ’র পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করার পাশাপাশি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।