মৈত্রী পানি বর্ষণে মাতোয়ারা বান্দরবানের মারমা’রা

নববর্ষ উপলক্ষ্যে “সাংগ্রাই” এর মৈত্রী পানি বর্ষণে মেতে উঠেছিল বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়। শনিবার বিকালে জেলা শহরের রাজার মাঠে পানি বর্ষণে মেতে উঠে তারা।

মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে যোগ দিতে বিকাল থেকে দলে দলে মারমা তরুন-তরুণীরা নির্ধারিত মঞ্চে অবস্থান করে। এ সময় চারিদিকে মারমা সঙ্গীতের মূর্ছনা, আর নাচ-গানে আনন্দে মেতে উঠে শিশুসহ সবাই। এক একজন তরুণ একজন তরুণীর দেহে জল ছিটায়। আর ঐ তরুণীও ঐ তরুণের দেহে পাল্টা জল ছিটিয়ে তার প্রতি উত্তর দেয়। এভাবে তরুণ- তরুণীরা পানি ছিটানোর মধ্যে দিয়ে মৈত্রী পানি বর্ষণে মেতে উঠে। এই মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে বিদেশীরাও অংশগ্রহন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আদিবাসী নেতারা। এসময় হাজার হাজার পাহাড়ী-বাঙালী মৈত্রী পানি বর্ষণে উপভোগ করে। বিকাল থেকে একই স্থানে মারমা আদিবাসীদের বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গান পরিবেশন করে উৎসব অঙ্গনকে মাতিয়ে রাখে।

পুরাতন বছরকে পেছনে ফেলে আসে নতুন বছর, আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পাহাড়ের আদিবাসী পল্ল-ীর মারমা আদিবাসীরা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে মৈত্রী পানি বর্ষণসহ সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে। পাহাড়ের আদিবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে বর্ষবরণের এই উৎসব পালন করে থাকে।
ত্রিপুরাদের বৈসুর (বৈ), মারমাদের সাংগ্রাইয়ের (সা) চাকমাদের বিঝুর (বি) থেকে বৈসাবি হলেও বান্দরবানের মারমারা বর্ষবরণের এই উৎসবকে সাংগ্রাই বলে থাকে। এই উৎসব দেখতে প্রতিবছরের মতো এবারও বান্দরবানে দেশি বিদেশী পর্যটকদের ভীর পরিলক্ষিত হয়।

প্রসঙ্গত, বান্দরবান জেলা শহরে শনিবার মধ্যরাতে এই উৎসবের ইতি টানা হলেও, জেলার উপজেলা গুলোতে ১৭ এপ্রিল শেষ হবে মারমাদের বর্ষবরণের সাংগ্রাই অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন