রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যত খুশি সমালোচনা করুন আপত্তি নেই। তবে সেটা গঠনমূলক ও শিক্ষণীয় হতে হবে। সমালোচনার জন্য সমালোচনা করা উচিৎ নয়।’
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১৯৬ জন দুস্থ, অসহায় এবং নিহত সাংবাদিকের পরিবারের মাঝে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় তিনি জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। অনলাইন গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর নীতিমালা করতে হবে। সেখানে কী থাকবে, আর কী থাকবে না সেটাও নীতিমালায় আসবে আশা করি। খুব দ্রুত এই নীতিমালা আসবে। এটা খুব দরকার।’বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সরাসরি সম্প্রচার মানুষের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দয়া করে এটা করবেন না। যখন একটা ঘটনা ঘটে, তখন আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিতে যায়। এটা যদি আপনার দেখান কোথায় কে ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়ে থাকলো, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তাহলে এটা তো সন্ত্রাসীরাও দেখে ফেললো। তারাও তো এটা দেখে এলার্ট হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার লাশের বীভৎস ছবি দেখান। এগুলো বিদেশি কোনও মিডিয়াতে কি দেখায়? বিদেশেও তো অনেক ঘটনা ঘটে। এমন ছবি শিশুদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাহলে আপনার কেন দেখান? আন্তর্জাতিক নীতিমালা আপনাদেরও মেনে চলতে হবে।’এ সময় সমন্বিত নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তথ্যমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের অষ্টম ওয়েজবোর্ড দেয় না কিন্তু সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেয় তাদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি। অনুষ্ঠানের সাংবাদিকরা তাদের আবাসনের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা জায়গা দেখে থাকলে আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো। যদি জমি নিয়ে দেওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা করে দেবো।’সূত্র-বাংলা ট্রিবিউন।