যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষায় খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, খেলাধুলা চর্চার মাঝে যুবদের ব্যস্ত রাখলে সন্ত্রাসী ও মাদকের ছোবল থেকে তাদের রক্ষা করা সম্ভব। যত বেশী ক্রীড়ার চর্চা হবে তত বেশী যুব সমাজ মাদক থেকে দূরে সরে যাবে। এ জন্য তিনি যুব সমাজকে খেলাধুলার মধ্য দিয়ে মানসিক ও শারীরিক যোগ্যতায় অবদান রাখারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে জড়িত যুবরা মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সহায়ক ভুমিকা রাখে। তিনি আলো বলেন, এ জেলা থেকে এ্যাথলেটিক্স এ অনেক খেলোয়াড় দেশ তথা বিদেশের মাটি থেকেও বিজয় অর্জন করে দেশের পতাকার মান রেখেছে। দেশের জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই তিনি ক্রিকেট-ফুটবলের পাশাপাশি এ্যাথলেটিক্স খেলা পরিচালনা করার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষন করেন। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাঙামাটি শহরের রাঙ্গাপানি এলাকার মাঠে রাঙ্গাপানি স্পোটিং ক্লাবের উদ্দ্যেগে আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংসদ এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিহিসেবে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুসুম চাকমা, রাঙামাটি পৌর কাউন্সিলর রবি মোহন চাকমা’সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কার্ব্বারী ও প্রাক্তন খোলোয়াড়বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় রাঙ্গাপানি একতা একাদশ বনাম এমআরএস মাঝেরবস্তী একাদশ ক্লাব অংশগ্রহণ করে। খেলায় এমআরএস মাঝেরবস্তী একাদশ ক্লাববে ০৪ (চার) গোলো পরাস্ত করে রাঙ্গাপানি একতা একাদশ ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এমআরএস মাঝেরবস্তী একাদশ ক্লাব খেলার প্রথময়ার্ধে রাঙ্গাপানি একতা একাদশ ক্লাবকে ০১ (এক) গোল দিলেও পুরো খেলায় আর গোল করার সুযোগ তারা পাইনি। ফলে রানার্সআপ এর ট্রফি নিয়েই এমআরএস মাঝেরবস্তী একাদশ ক্লাবকে মাঠ ছাড়তে হয়।
খেলায় ১১টি গোল করে শ্রেষ্ঠ গোলাদাতা হিসেবে রাঙ্গাপানি জুনিয়র ক্লাবের খেলোয়াড় বিজয় শান্তি চাকমা, শ্রেষ্ঠ খেলোয়ার হিসেবে রাঙ্গাপানি একতা একাদশ ক্লাবের খেলোয়াড় প্রদীপ বড়ুয়া এবং শ্রেষ্ঠ রেফারি হিসেবে ঝুংগুরু চাকমাকে সম্মাননা ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। পরে সংসদ সদস্য খেলা পরিচালনা কমিটিকে শুভেচ্ছা স্বরুপ ৭ হাজার, চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫হাজার এবং রানার্সআপ দলকে ৪হাজার টাকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।