একদিকে অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে ও বৃক্ষনিধন করে বাড়ীঘর নির্মান ভুমিধ্বসের মূল কারন। অন্যদিকে কাপ্তাই বাঁধ হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি ড্রেজিং না করার ফলে হ্রদে দিন দিন মাটি ভরাটের কারনে বন্যা হচ্ছে। ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে ভ’মিধ্বস ও বন্যার কারন জানতে চাইলে পরিষদের সদস্যরা সদস্যরা এসব কথা বলেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বুধবার পরিষদের চেয়ারম্যান অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিষয় নিয়ে বৈঠকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদের সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, ইউএনডিপি’র রিকোভারি এ্যাডভাইজার সীতাগিরি, ইউএনডিপি’ কর্মকর্তা বিপ্লব চাকমা ও ঐসৌর্য্য চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সদস্যরা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বনায়নের বিষয়ে পরিষদ হতে গাছের চারা ও সচেতনতা বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দূর্যোগে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পরিষদ হতে তাৎক্ষনিক নগদ অর্থ’সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভিজিএফ এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তত ৩মাস-৬মাস পর্যন্ত খাদ্যশষ্য প্রদানে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব এর সাথে আলাপ করা হয়েছে। দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি ইউএনডিপিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সদস্যরা।
ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দল বলেন, আবাহাওয়া অফিসের সাথে সমন্বয় রেখে প্রাকৃতিক দূর্যোগের পূর্বাভাস জেনে অন্তত এক সপ্তাহ আগে যদি সতর্ক বার্তাগুলো ঝুকিপূর্ন এলাকায় পৌছানো যায় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে কম হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় ইউএনডিপি’র পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দল ।