সভায় বক্তারা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ গ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এ অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস জোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে।কবির লেখা গান ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কবির বিভিন্ন রচনা স্বাধীনতা অর্জনে বিপুল প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ জাতির সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র, কথাসাহিত্য, কৃষি, সমাজব্যবস্থা, রাজনীতি ও জাতীয়তাবাদের জাগরণে কবি রবীন্দ্রনাথ পথিকৃতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মিলন ধর ও সুবল বিশ্বাস। আলোচনা সভা শেষে উদীচী বনরুপা শাখা সংসদের শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।