রাঙামাটিতে কোটি টাকার আজব ব্রিজ !

ব্রিজে উঠতে ভরসা কাঠের মই

NewsDetails_01

ব্রিজটির দুই পাশে কোনো রাস্তা নেই, আছে শুধু দূরবর্তী এলাকায় বসবাসরতদের ঘরবাড়ি। দীর্ঘ ৯ বছরেও ব্রিজের দুইপাশে নির্মিত হয়নি সংযোগ সড়ক। ব্রিজটি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেও নেই সংযোগ সড়কের মাটি। ফলে ব্রিজটি কোনো কাজে আসছে না। এ কারনে কাঠের মই বেয়ে ওঠানামা করতে হয় ব্রিজে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংযোগ সড়কবিহীন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্রিজ রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ১ নম্বর আটারকছড়া ইউনিয়ন ও মিজান মুন্সির বাড়ির সামনের মাইনী নদীর উপর নির্মিত। ব্রিজটির দুই পাশে ৫০টি পরিবারের বসবাস। সংযোগ সড়ক না থাকায় দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে ৮-৯ ফুট উঁচু কাঠের মই বেয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছে এসব পরিবারের সদস্যরা। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা বছর কাঠের মই বেয়েই মাথায় বা কাঁধে মালামাল বহন করে ব্রিজ পারাপার হতে হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে মাইনী নদীতে পানি বাড়ার কারণে ব্রিজটি ব্যবহার করা যায় না, তখন নৌকায় চলাচল করতে হয়।

NewsDetails_03

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ব্রিজটি। এরপর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছে না আশপাশের মানুষ।

১ নম্বর আটারকছড়া ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুর রহমান জানান, ব্রিজটির দুই পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর বারবার আবেদন করা হয়েছে কিন্তু এই আবেদনেও সাড়া মেলেনি।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা জানান, ব্রিজটি রাঙামাটি জেলা পরিষদ নির্মাণ করেছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও তাদেরই। তবে বর্তমানে বরাদ্দ না থাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি জেলা পরিষদের নজরে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন