রাঙামাটিতে গণডাকাতির ঘটনায় ২ডাকাত আটক পরে জেলহাজতে প্রেরণ। সদর উপজেলার সাপছড়ির দেপ্পোছড়িতে গত ৩ মে সংগঠিত গণডাকাতির মামলার আসামী রমেশ ত্রিপুরা (২৯ কে আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
রমেশ ত্রিপুরার স্বীকারোক্তিমূলে অপর এক যুবককে আটক করে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত শুক্রবার রাতে আটককৃত যুবক রমেশ ত্রিপুরাকে ডাকাতি সম্পর্কে স্বীকারোক্তিকালে রমেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যার কারনে তাকেসহ মোট ২ডাকাতকে গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে ডাকাতি মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর ডাকাতে নাম কালাধন চাকমা(৩১)তাকে সাপছড়ি এলাকা হতে আটক করা হয়েছে। এই ডাকাতি মামলার বাদী পৌর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন। রমেশ ত্রিপুরার স্বীকারোক্তিতে বলেন,৩মে রাতে প্রায় ১০-১২জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ সাপছড়ির দেপ্পোছড়িতে সিএনজি মিনি ট্রাক ও মাইক্রোর যাত্রীর উপর অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট পাট করে নগদ টাকা স্বর্ণঅলংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে রাতের মধ্যেই ডাকাতির ওই সব টাকা ও মালামাল তারা ভাগাভাগি করে নেয়। এবং ডাকাতির সাথে জড়িত সবার নাম বলে দেয় রমেশ ত্রিপুরা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ রশীদ জানান,ডাকাতির ঘটনায় রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করার পর সিভিল ও সাদা পোশাকে বেশ কিছু পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সংগ্রহে ডিউটিরত ছিল। সাদা পোশাক ধারী পুলিশ ও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে গত শুক্রবার রাতে শহরের গর্জনতলী
এলাকা থেকে রমেশ ত্রিপুরাকে আটকের পরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে সাপছড়ি এলাকা থেকে কালাধন চাকমাকে আটক করা হয়।গণডাকাতি মামলায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পুলিশ চেষ্টা করছে সিন্ডিকেট চক্রের সাথে জড়িত সবাইকে ধরতে।
এদিকে এই গণডাকাতির ঘটনায় গতকাল রোববার সড়ক ও নৌ-পথে সকাল সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট পালন করছে রাঙামাটি সড়ক যান ট্রাক বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।