ত্রাণ বিতরণে থেমে নেই কেউই। একেবারে সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে স্বায়ত্বশাষিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, এমনকি ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিদিন রাঙামাটি শহরের কোথাও না কোথাও ত্রান বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। করোনা আতংকে খাদ্য সংকটের এই সময়টিতে ত্রান পাওয়া মানুষগুলোর মাঝে সাময়িক স্বস্থি ফিরলেও, না পাওয়াদের আক্ষেপ দীর্ঘতর হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় ত্রান বিতরণ নিয়ে ত্রাণত্রাণ ক্ষোভ, ত্রাণ অসন্তোষ। এসব নিয়ে প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ আর অসন্তোষ ঝাড়ছে কেউ না কেউ।
সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা শুভ লিখেছেন, বনবিহার এলাকার বিজয় নগর, বিহারপুর, পিটিআই এলাকাবাসীরা সবাই ধনী। তাই জেলা প্রশাসন,পৌরসভা, সরকারি-বেসরকারি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এগুলো চোখে পড়ে না। এগুলো বেল্লাল হোসেন টিটু ভাইয়ের ওয়ার্ড।
করিম খান নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন ভেদভেদি পশ্চিম মুসলিম পাড়া ১৭০ পরিবারের বসবাস, কিন্তু সরকারি চাকরি জীবি আছে মাত্র ১৫ জন, বাকিরা সবাই শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ, দুঃক্ষের বিষয় আজ পর্যন্ত সরকারী ত্রাণ পেয়েছে মাত্র ১০ জন! ফেইসবুক খুললেই দেখি ওমুকে ত্রান দিচ্ছে তমোকে ত্রান দিচ্ছে!!!

সেভ দা ন্যাচরের তিন পার্বত্য জেলার সমন্বয়ক মোঃ শাহজাহান লিখেছেন, দিন মজুর শ্রমিকরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ১ টি ঘরে বার বার ত্রাণ পাচ্ছে। আরেক শ্রেনীর মানুষ ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।। তাছাড়া, রাঙামাটি শহরে পুলিশ লাইন হাসপতাল এলাকায় এখনো অনেকেই ত্রাণ পাই নি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট সু -দৃষ্টি কামনা করছি।
টিপু বড়ুয়া নামে এক ভদ্রলোক লিখেছেন, ত্রাণ গুলো কোথাই গেল? ৮,৯ নং ওয়ার্ডে ও গুলো আসে নাই।
কামাল উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, সরকারি চাকরিজীবীরাও নাকি ত্রাণ পাচ্ছে এটা আবার কেমন কথা।
মনিকা আক্তার নামে এক নেত্রী লিখেছেন, নেতা কর্মীদের বলছি রিলিফের চাল তেল ডাল ঘরে নিচ্ছেন গরিব মানুষ কিছু বলতে পারচ্ছেনা শুধু চোখের জল ফেলছে??? চোখের জলের দাম দিতে হবে।