রাঙামাটিতে পাহাড়ি কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

রাঙামাটি সরকারি কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গতকাল সন্ধ্যায় তিনজন বাঙালি সেটলার যুবক কর্তৃক এক পাহাড়ি কলেজ ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।

আজ বুধবার (২০ জুলাই ২০২২) হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিমি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রাঙাামটি জেলা শাখার সভাপতি রিনিশা চাকমা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় রাঙামাটি সরকারি কলেজের পার্শ্ববর্তী টিটিসি সংলগ্ন এলাকায় ছেলে বন্ধুর সাথে বেড়াতে যাওয়া এক পাহাড়ি কলেজ ছাত্রীকে তিন জন বাঙালি সেটলার যুবক জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সেটলার যুবকদের পেয়েও তাদেরকে গ্রেফতার না করে উল্টো ওই ছাত্রীর বন্ধুকে থানায় নিয়ে গিয়ে হয়রানি করেছে।

NewsDetails_03

বিবৃতিতে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও প্রশাসন ও সরকার নির্বিকার থাকায় দুর্বৃত্তরা এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করতে সাহস পাচ্ছে।

সেটলার বাঙালিদের কারণে পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে উল্লেখ করে নেতৃদ্বয় বলেন, শাসকগোষ্ঠির পক্ষপাতদুষ্টতার কারণে সেটলার বাঙালিরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফলে পাহাড়ি নারীরা কোথাও আর নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে না। এ যাবত সেটলার কর্তৃক সংঘটিত পাহাড়ি নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনাগুলোর বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় গতকাল রাঙামাটিতে সংঘটিত ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী সেটলার যুবকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত বিচার ও শাস্তি, নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেটলার বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সমতলে সরিয়ে নেওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত সংঘটিত নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।

আরও পড়ুন