সারা দেশের ন্যয় রাঙামাটিতেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত কয়েকবছরে মতো আজ সোমবার সকালে নতুন ইংরেজী বছরের প্রথম দিন উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা সকালে রাঙামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং রাঙামাটি বনরুপা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বই উৎসবের দুটি স্কুলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রওশন আলী রাঙামাটির সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাহেদ চৌধুরীসহ শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গর্ভনিং বোর্ডের সভাপতি সদস্যরা উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই বিতরণ করেন।
গত বছরের মতো এবছরও প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাক-প্রাথমিক তথা শিশু শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীর ২৫হাজার শিক্ষার্থীদের হাতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মার্তৃভাষায় রচিত বই তুলে দেওয়া হয়। নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের মনে খুশীর বন্যা বয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত বছরের ন্যয় এবছর শিশু শ্রেণীর পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও এই প্রথম নিজস্ব মার্তৃভাষায় রচিত বই পাওয়ায় মার্তৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ আরো অনেক বাড়ল বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ।
২০১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য রাঙামাটিতে বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে আড়াই লক্ষ পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে বলে জানায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রওশন আলী।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বইয়ের মধ্যে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্টীর ভাষায় রচিত বইগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় শিশুরা পড়ালেখায় অনেক আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে মনে করেন রাঙ্গামাটি বনরুপা মডের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্চনা তালুকদার। রাঙামাটির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ নিজ উদ্যেগে আয়োজিত পাঠ্য পুস্তক উৎসবে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে।