রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা, রাঙামাটি জেলা শাখা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের বনরূপা এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শহিদুল ইসলাম শাফি। বক্তৃতা দেন ইরফানুল হক, সর্বজিত চাকমা, ইমাম হোসেন ইমু, হারুন ইবনে আব্দুল খালেদ, তানিম ইবনে ইয়াম, সায়েদা খাতুন, মো. আব্দুল্লাহ ও মো. রাকিব উদ্দীন।

বক্তারা বলেন, রাঙামাটিতে স্থাপিত ফ্যাসিবাদের প্রতীকী বঙ্গবন্ধু মূর্তি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

NewsDetails_03

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের তিন মাস ২০ দিন পর, ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর, শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি প্লাস্টিকের ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। জানা গেছে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেই এটি ঢেকে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, তৎকালীন নারী সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর তত্ত্বাবধানে ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সফিউল আজমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট এলাকায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও আশপাশের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।

৩১ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১২ ফুট প্রস্থের ওই ভাস্কর্য এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর নির্মাণে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক সবুজ ভাস্কর্যটির নকশা করেন। এতে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ দিবসের উল্লেখ রয়েছে।

২০১৩ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলে, ২৩ ফেব্রুয়ারি তা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন