রাঙামাটিতে বন্ধুকে হত্যার ৫ ঘন্টার মাথায় হত্যাকারী বন্ধু আটক
রাঙামাটি শহরে আজ শনিবার ভোরে রাব্বী নামের এক যুবক খুনের ৫ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী বন্ধুকে আটক করতে সক্ষম রাঙামাটি জেলা পুলিশ। বেলা ১১টার দিকে হত্যাকারী সেলিম মাহমুদ (৩৪) কে বনরুপা থেকে আটক করা হয়। সে বনরুপা ম্যাগপাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী এবং নরসিংদি জেলার রায়পুরা থানার চরমধুয়া ইউনিয়নের নজুরবাড়ি গ্রামের মোঃ মাহমুদের ছেলে।
এদিন ভোর পাঁচটার দিকে রাঙামাটি শহরের বনরুপা এলাকার ফরেস্ট রোডে রিয়াজুল হক রাব্বীকে চুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত রাব্বী বনরুপার ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকের ছেলে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিং এ তথ্য দেন পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার)।
পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ৬টায় রিয়াজুল হক রাব্বী নামের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাত্র পাঁচ ঘন্টার মধ্যে কোতয়ালী থানা পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত সেলিম মাহমুদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতার হওয়ায় তিনি স্বস্থি প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
পুলিশ সুপার জানান, আসামি সেলিমের দেয়া তথ্যমতে, নিহত ভিকটিম ও আসামী দুইজনই পুর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। আসামি সেলিম নিহত রাব্বীর নিকট টাকা পাওনা ছিল। শনিবার দিবাগত রাতে আড়াইটায় পাওনা টাকা দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে রাব্বী সেলিমকে মারধর করে। এরপর সেলিম ম্যাগপাই রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলায় চলে যায়। পরবর্তীতে ভোর ৫টার দিকে রাব্বী আবারো সেলিমকে ডেকে নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আসামির সাথে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করলে ভিকটিম রাব্বী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এসময় ঘটনার সময় পাশে থাকা নৈশ প্রহরী মোঃ আমির হোসেন আসামিকে ফেরাতে চেষ্টা করলে তাকেও চুরিকাঘাত করে। আহত নৈশ প্রহরী মোঃ আমির হোসেন বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মুলত টাকার লেনদেন থেকেই এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। এরপরও ঘটনার সাথে অন্যকেউ বা অন্যকোন কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুল আমিনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।