রাঙামাটিতে শতাব্দী প্রাচীন বৃক্ষ চাপালিশের বয়স এখন ৩১৬

NewsDetails_01

চাপালিশ, বয়স ৩১৬। ব্রিটিশ শাসন থেকে পাকিস্তান হয়ে স্বাধীন বাংলার পাহাড় ও হ্রদ ঘেরা অপরুপ রাঙামাটির উত্থান-পতনের স্বাক্ষী হিসেবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। যেন ক্লান্তিহীন দীর্ঘ পথ চলা। কত ঝড়-তুফান সয়ে নিয়েছে কালে কালে। বড় বড় ডালপালার ছায়াতলে চাপালিশ গাছটির বুক ঘেষে দাঁড়ালেই শোনা যায়, মহাকালের পথে র্দীঘ পরিভ্রমনের নানান গল্প। মনে হয় গাছটির প্রতিটি ডালপালার পরতে পরতে লেখা আছে ইতিহাসের নানান গল্প।

রাঙামাটি শহরের ডিসি বাংলো কিংবা পলওয়েল পার্কে ঢুঁ মারলেই যেকোন দর্শনার্থীর চোখ আটকে যায় শতাব্দী প্রাচীন গাছটিকে দেখে। কালের স্বাক্ষীকে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে ছবি বা ভিডিও করে রাখেন তারা। বৃক্ষপ্রেমিরা আর এক কদম এগিয়ে গিয়ে গাছটি পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে খোঁজেন রোমাঞ্চকর মুহুর্ত। এটি প্রতিদিনকার ঘটনা। কখনও ছবি তুলতে গিয়ে গাছটির চারপাশে পর্যটকদের ভিড় লেগে যায়।

৩১৬ বছর বয়সী এ চাপালিশ গাছটির দৈর্ঘ্য ১০৩ মিটার ও পরিধি ২৫ মিটার। স্থানীয় বন বিভাগের সহায়তায় জেলা প্রশাসন এটির তত্তাবধানের দায়িত্বে আছেন। যত্ন-আত্মিতে কম না হলেও, দর্শনার্থীদের কারণে গাছের শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

NewsDetails_03

দর্শনার্থীদের মতে, বিশাল এই চাপালিশ গাছটির নিচে বসলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। গাছের ডালে ডালে নানা প্রজাতির পাখি কিচিরমিচির করে। মনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এক অনাবিল প্রশান্তি।

স্থানীয় পর্যটন উন্নয়ন কর্মী মোঃ সোলায়মান জানান, রাঙামাটির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বৈচিত্রের সাক্ষী রাঙামাটির ডিসি বাংলো পার্ক সংলগ্ন ৩১৬ বছর বয়সী চাপালিশ গাছটি। সুদীর্ঘ তিন শতক সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষটি পাহাড়ের প্রাচীনতম বৃক্ষ। গাছটিতে বয়সের ছাপ পড়েছে। রয়েছে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্নের অভাব। গাছটি রক্ষার্থে প্রশাসনিকভাবে আরো কঠোর নজরদারি করা দরকার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, বিশালকৃতির এই চাপালিশ গাছটি মুলত পরিচর্যার কারণেই দীর্ঘ বছর ধরে বেঁচে রয়েছে। ভালো পরিবেশ পেলে গাছগুলো অনেক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। চাপালিশ মূলত কাঁঠাল প্রজাতির বৃক্ষ। তবে কাঁঠালের চাইতে চাপালিশ গাছ অনেক বড় আকৃতির এবং সোজা হয়।

আরও পড়ুন